বাঘের চামড়াসহ আটক চোরা শিকারি কারাগারে
Published : Thursday, 21 January, 2021 at 12:00 AM
বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে র্যাব ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে বাঘের চামড়াসহ আটক চোরা শিকারি গাউস ফকিরকে (৫২) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৮ এর পক্ষ থেকে তাকে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাঘ হত্যায় বন আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার চোরা শিকারিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পেশাদার চোরা শিকারি গাউস ফকির একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হত্যা করে চামড়া নিয়ে তা বিক্রির জন্য ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছে, এমন খবর আসে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কাছে। বিশ্বস্ত সূত্রে এ খবর পাওয়ার পর র্যাব-৮ এ সহযোগিতায় ক্রেতা সেজে গোপনে শনিবার থেকে চার দিন ধরে চোরা শিকারি গাউস ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিলো।
পরে বাঘের চামড়াটির দরদাম ১৩ লাখ টাকা ঠিক হয়। পরে সুন্দরবন বন বিভাগ ও র্যাব সদস্যরা চোরা শিকারি গাউস ফকিরকে বাঘের চামড়া হস্তান্তরের সময় পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বস্ত করে। সে মতে গাউস ফকির মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি বস্তায় বাঘের চামড়াসহ শরণখোলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তেলের পাম্পের কাছে জলিলের ব্রিজের নিচে আসে। এসময়ে সুন্দরবন বন বিভাগ ও র্যাবের যৌথ টিমের সদস্যরা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে বস্তাভর্তি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকিরকে গ্রেফতার করে।
উদ্ধার হওয়া বাঘের চামড়াটি ৮ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা ও ৩ ফুট ১ ইঞ্চি চওড়া।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার গাউস ফকির জানায় কয়েক মাস আগে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহিদুল নামে অপর এক চোরা শিকারিকে সঙ্গে নিয়ে চামড়া বিক্রি করার জন্য পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘটিকে হত্যা করা হয়। বন আইনে বাঘ হত্যা ও বন্যপ্রাণির চামড়া বেচাকনোয় জড়িত থাকার দায়ে গাউস ফকিরের সবোর্চ্চ সাজা ১০ বছর কারাদ- ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলে আশা করছে বন বিভাগ।