আবুধাবিতে আফগানিস্তানের এক ইনিংসেই ক্রিকেটের রং-বেরং সৌন্দর্য ফুটে উঠলো। অভিষেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এরপর ঘূর্ণি-জাদুতে ধস নামালেন আয়ারল্যান্ডের অফস্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন আর শেষটায় ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখিয়ে সেই ধসের ক্ষতে প্রলেপ দিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এমন নাটকীয় অনেক ঘটনার জন্ম দিল আফগানিস্তান। শেষতক ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ২৮৭ রানের বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে তারা।
উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর জাভেদ আহমেদি। ২২ ওভারের জুটিতে তারা তুলেন ১২০ রান। যে জুটিতে গুরবাজের অবদানই বেশি। ৫৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৮ রান করে আহমেদি ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
উদ্বোধনী জুটিটি ভাঙেন ম্যাকব্রিন। এরপর একের পর এক ধাক্কা দিতে থাকেন আইরিশ অফস্পিনার। বিনা উইকেটে ১২০ থেকে ৫ উইকেটে ১৬১ রানে পরিণত হয় আফগানিস্তান। এই পাঁচ উইকেটের সব কটিই নেন ম্যাকব্রিন।
উইকেট পতনের সেই ধারা থামেনি আফগানদের। দলীয় ১৯৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান অভিষিক্ত সেঞ্চুরিয়ান গুরবাজও। ১২৭ বলে সমান ১২৭ রান করেন আফগান ওপেনার, যে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৮টি বাউন্ডারি আর ৯টি ছক্কায়।
গুরবাজ ফেরার পর এক পর্যায়ে ২০৮ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। মনে হচ্ছিল, ২২০-২৩০ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেখান থেকে হাল ধরেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তার ৪৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসটি ধীরগতির হলেও দলের বিপদে কাজে এসেছে।
এরপর বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক রশিদ খান। শুরু থেকেই মারমুখী রশিদের ব্যাটে চড়েই শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে আফগানিস্তান। ৩০ বলে তিনি খেলেন ৫৫ রানের ইনিংস, যে ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে ছিল ৫টি ছক্কার মার। শেষতক ইনিংসের ১ বল থাকতে রানআউট হন আফগান অধিনায়ক।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ম্যাকব্রিন। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রান খরচায় এই অফস্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট।