Published : Thursday, 21 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.01.2021 12:34:42 AM
মাসুদ
আলম।। কুমিল্লা আবহাওয়ার অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকাল বুধবার জেলার
বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায়
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে আকাশ মেঘলা থাকবে।
তাপমাত্রা আরও কমে শীত আরও জেঁকে বসতে পারে। আগামীকাল শুক্রবারের পর
বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে
বলে জানান কুমিল্লা জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া।
গতকাল
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা খুব একটা না কমলেও মানুষের মাঝে শীতের রেশ বেশি
দেখা গিয়েছে।
এদিকে শীতের মধ্যে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে
দুর্ভোগ। গতকাল সকালে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশায়
ঢেকে যায় আকাশ। এরপর বৃষ্টিতে জেঁকে বসা ঠা-ায় ভোগান্তিতে পড়েন শ্রমজীবী ও
খেটেখাওয়া মানুষ।
শহর ঘুরে দেখা যায়, শীতে বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে
পড়েন রাস্তায় কর্মরত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা,
ফুটপাতের দোকানদার এবং রাস্তায় যাদের বসবাস তারা বিপদে পড়েছেন। কোনো
প্রস্তুতি না থাকায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর মাথা গোঁজার জায়গাটুকুও ভিজে যায়।
অল্প বৃষ্টি হলেও শীতের কারণে স্যাঁতস্যাঁতে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ অবস্থা থাকবে আগামীকালও।
কুমিল্লা জেলা
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, বুধবারের মতো আজও থেমে
থেমে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে আকাশ মেঘলা ও ঘন
কুয়াশা পড়তে পারে। তিনি বলেন, বুধবার কুমিল্লায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। এছাড়া দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা না থাকা এবং কুয়াশার
প্রভাবে সূর্যের আলো প্রকৃতিতে না পৌঁছানোর কারণে সন্ধ্যার পর থেকে জুড়ে
বসতে থাকে শীত। রাত যত বাড়তে থাকে, তাপমাত্রাও তত কমতে থাকে। শুরু হয় শীতের
তীব্রতা।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, শীতের এই মৌসুমে
কুমিল্লায় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। ৯.৩ থেকে
১০.১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও সর্বশেষ সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিল
১০-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমান তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ
নিতে পারে। জানুয়ারি মাসে কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে। আশঙ্কা করা
হচ্ছে, চলতি জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এই ঋতুতে দিনের তুলনায়
রাত বড়। শৈত্যপ্রবাহ বা কুয়াশার কারণে সূর্যের কিরণ বাধাগ্রস্ত হয়। যার
কারণে বিকেল থেকেই শীত অনুভব হতে শুরু করে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় শীতের
তীব্রতা। আবার, কুয়াশা ভেদ করে দিনের বেলায় সূর্যের কিরণ দেখা দিলে
স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বেড়ে ২৫-২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উঠানামা করে।