Published : Thursday, 21 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.01.2021 12:34:11 AM
তানভীর সাবিক, কুবি ।।
স্কলারশিপ পেলেও যেতে পারেন না। শিক্ষা ছুটির জন্য এ দপ্তর ঐ দপ্তর ঘুরতে হয়। বহু কষ্টে যাওয়ার অনুমতি মিললেও উচ্চতর ডিগ্রির জন্য নিজ খরচে বিদেশ যেতে হয়। পান না তার নিয়মিত বেতন। আইনে সকল সুযোগ সুবিধাসহ কর্মকর্তাদের শিক্ষা ছুটির কথা বলা থাকলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেডিকেল কর্মকর্তারা তা পান না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬তম সিন্ডিকেটে সংশোধিত শিক্ষা ছুটি নীতিমালায় ২২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, শিকদের জন্য শিক্ষা ছুটির যে নীতিমালা রয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যদি তারা উচ্চশিক্ষার জন্য মনোনীত হন। এছাড়া ৪ এর ২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মাস্টার্স এবং এম.ফিল ডিগ্রির জন্য একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ৫ বছর পূর্ণবেতনসহ শিক্ষা ছুটি পাবেন। যদি আরও প্রয়োজন হয় তাহলে ১ বছর বিনা বেতনে এবং আরও ১ বছর বিশেষ ছুটি পাবেন। আইনে এসব কথা বলা হলেও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পান না মেডিকেল কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, এ দপ্তর ও দপ্তর ঘুরে শিক্ষা ছুটির অনুমতি মিললেও তারা শুধুমাত্র চিকিৎসা ভাতা এবং বাড়ি ভাড়ার ভাতা পান। মূল বেতন পান না।
সম্প্রতি চীনের জেংজু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য স্কলারশিপ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম. হেলাল মোর্শেদ। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আইনে আমাদের শিক্ষা ছুটির কথা বলা থাকলেও আমরা কোন বেতন পাইনা। ডাক্তারদের জন্য উচ্চশিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের কাছে আমি কর্মকর্তা পরিষদের মাধ্যমে কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি যেন আমাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি জিনাত আমান বলেন, আমরা এর আগেও বেশ কয়েকবার লিখিত দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন থেকে কোন সাড়া পাইনি। এবার আমরা উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন জানাবো যেন শিক্ষা ছুটিতে থাকা কর্মকর্তারা বেতনের আওতাভুক্ত থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমিও মনে করি ডাক্তারদের শিক্ষা ছুটির সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের মেডিকেলে লোকবল সংকট রয়েছে। এ কারণে সবাইকে শিক্ষা ছুটির অনুমতি দেয়াও সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের সেবার জন্যই তাদের উচ্চশিক্ষার সুবিধা দেয়া উচিত। সিন্ডিকেটে এসব বিষয়ে আলোচনা করবো যেন সুনির্দিষ্ট একটা নীতিমালার আওতায় আনা যায়।