বিধানসভা
নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে বাংলাজুড়ে। দলত্যাগ ও
দলযোগ-এর হিড়িক দেখে বিভ্রান্ত রাজ্যবাসী। শুক্রবার সকালে সরকারি ভাবে
তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন টলিউড অভিনেতা সৌরভ দাস। যোগ দিতে না দিতেই কয়েক
ঘণ্টার মধ্যে তাঁর একটি নতুন ভিডিয়োটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটদুনিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন সৌরভ দাস।
ভিডিয়োর
কমেন্টে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকরা। কেউ লিখেছেন, ‘শীঘ্রই
আসছে চরিত্রহীন ৪’। কেউ বা আবার লিখলেন, ‘মহাপুরুষ মনে হয় ভুলে গিয়েছিলেন
যে সামনে কেউ ভিডিয়ো করছে।’ হাওয়ায় একটি তথ্য ভেসে এসেছিল, ওই মহিলা
সৌরভেরই বোন। তার পর সেই নিয়েও লেখালেখি চলে নেটদুনিয়াজুড়ে। এই
ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে নিজের ইনস্টাগ্রামে আরেকটি ভিডিয়ো পোস্ট করলেন
সৌরভ দাস। স্বপক্ষে যুক্তি দিলেন অভিনেতা। ভিডিয়োটি ওই একই দিনের। কেবল
দৈর্ঘ্য বেশি তাই নয়, অন্য অ্যাঙ্গেল থেকে রেকর্ড করা গোটা ঘটনাটি।
ভিডিয়োটির মাধ্যমে অভিনেতা কার্যকারণ সূত্রটি বোঝাতে চাইলেন। আর তাই
লিখলেন, ‘ছোট ছবি দেখলে? এ বার বড়োটা দেখো।’ তার পর বড় একটি পরিচ্ছেদে সে
দিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করলেন অভিনেতা। জানা গেল, তাঁর সাম্প্রতিকতম
জন্মদিন উপলক্ষে সবাই একত্র হয়েছিলেন। সৌরভের অনুরাগীরা তাঁর জন্মদিন পালন
করতে এসেছিলেন সেই ক্লাবে। তাঁর বাঁ পাশের ভদ্রলোক সৌরভের বাবা। এবং যে
মহিলাকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি সৌরভের নিজের বোন। এই প্রথম এত জনকে
তাঁর জন্মদিন পালন করতে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানালেন অভিনেতা।
অভিনেতার বক্তব্য, স্কুলের লাস্ট বেঞ্চার ছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের তাঁকে
নিয়ে যথেষ্ট হতাশা ছিল। আর আজ তাঁর জন্য গর্বিত সেই বাবাই। তাঁর চোখের জল
মুছিয়ে দিচ্ছিলেন। লিখলেন, ‘বোনটাও কেঁদে ফেলল। ওর চোখের জল মোছাচ্ছি আর ও
আমার কানে কানে বলছে, দাদা! মালদা থেকে লোক এসেছে তোকে জাস্ট উইশ করতে।
ভাব! সারা রাত শিয়ালদহ স্টেশনে ঘুমিয়েছে।’
এই মুহূর্তে দু’ভাগে বিভক্ত নেটদুনিয়া। কারওর কারওর মতে, বোন ও দাদার
সম্পর্ক নিয়ে নোংরামো করা হচ্ছে। এটার পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। কেউ আবার
বলছেন, বোন হলেও ওই ভাবে জড়িয়ে ধরাটাকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না।
এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য সৌরভ দাসকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল থেকে। কিন্তু ফোনে ধরা যায়নি তাঁকে।