এবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি প্যারেডে অংশ নেবে
বাংলাদেশি কনটিনজেন্ট। আর বাংলাদেশি কনটিনজেন্ট প্যারেড করা অবস্থায় আকাশে
উড়ে তাদের সালাম জানাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ডাকোটা।
ডাকোটা বিমানটি অনেক আগেই অবসরে চলে গেছে। তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে
ব্যাপক অবদান রয়েছে বিমানটির। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের দেওয়া বিমানটি নিয়েই
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বিভিন্ন অভিযান শুরু করেছিল। এজন্য বাংলাদেশের কাছে
ডাকোটা বিমানটি অনেক আবেগের।
আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের বিমানবাহিনী দিল্লির রাজপথের আকাশে রুদ্র ফরমেশন
গড়ে তুলবে। আর সেখানকার প্রধান আকর্ষণ থাকবে কয়েক দশক আগেই অবসরে চলে যাওয়া
ডাকোটা।
ডাকোটা বিমান ছাড়াও এবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে উড়বে রাফালে এবং তেজাস। ফ্লাইপাস্টে আরো অংশ নেবে অ্যাপাচি এবং চিনক হেলিকপ্টার।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেডে ১২২ সদস্যের বাংলাদেশি কনটিনজেন্ট
অংশ নেওয়ার কথা। এর আগে দুইবার বিদেশি কোনো কনটিনজেন্ট এ ধরনের প্যারেডে
অংশ নিয়েছে।
এদিকে, ভারতের ইতিহাসে ব্যাপক তাৎপর্য রয়েছে ডাকোটা বিমানের। কারণ,
ভারতের বিমান বাহিনীতে এটি প্রথম বড় ধরনের পরিবহন বিমান ছিল। ১৯৪৬ সালে
ভারতের বিমানবাহিনীতে এটি ১২ নম্বর হিসেবে যুক্ত হয়।
ভারতের বিমানবাহিনীর প্রবীণ এয়ার ভাইস মার্শাল অর্জুন সুব্রামণিয়াম
(অবসর) বলেছেন, ১৯৪৭-১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের সময় শ্রীনগরকে
উপজাতীয় হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব ছিল ভারতের বিমানবাহিনীর।
ওই সময় বিমানটি ব্যবহার করা হয়েছে। এজন্য বিমানটির প্রতি ভারতের
বিমানবাহিনীর যথেষ্ট আবেগ জড়িত।
তিনি আরও বলেন, ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ডাকোটা ব্যবহার করেই ঢাকার একশ
কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইলে নামানো হয়েছিল সেনাদের। তার পাঁচ দিন পরেই
পাকিস্তানের বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।