তবে
ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখের আগে বিচারের যুক্তিতর্ক শুরু হবে না; এর ফলে
ট্রাম্পের আইনজীবীরা নিজেদের বক্তব্য গুছিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহের বেশি
সময় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। ট্রাম্পের উসকানির কারণেই ৬
জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়েছে বলে অভিযোগ ডেমোক্র্যাট
আইনপ্রণেতাদের। এই অভিযোগে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে মেয়াদের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে দ্বিতীয় দফা
অভিশংসিতও হতে হয়েছে। ৬ জানুয়ারির ওই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের শেষদিকে প্রথমবার অভিশংসিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে রিপাবলিকানি নিয়ন্ত্রিত সেনেট তাকে দায়মুক্তি দেয়। বুধবার ট্রাম্পের ঝঞ্জামুখর মেয়াদ শেষ হয়েছে; তিনি উত্তরসূরীর অভিষেকে অংশ না নিয়েই ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়েছেন। শুক্রবার
সেনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার জানান, প্রতিনিধি পরিষদ তাদের
অভিশংসন প্রস্তাব সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধাা ৭টার দিকে উচ্চকক্ষে পাঠাবে।
প্রতিনিধি পরিষদের যে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা সেনেটে কৌঁসুলির দায়িত্ব
পালন করবেন মঙ্গলবার তারা শপথ নেবেন। পরে সেনেটের রিপাবলিকান নেতা
মিচ ম্যাককনেলের কার্যালয় জানায়, বিচার খানিকটা দেরিতে শুরুর করার যে
প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল শুমার তা মেনে নেওয়ায় ম্যাককনেল খুশি হয়েছেন। দুই
পক্ষের এই সমঝোতার ফলে ট্রাম্পের বিচারের যুক্তিতর্ক ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু
হবে। সেনেটে ট্রাম্পের বিচার খানিকটা দেরিতে শুরু হোক-
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এমনটাই চান বলে শুক্রবার
ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ট্রাম্পের বিচারের আগে অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু সংস্কার
কার্যক্রম শুরু করতেই আগ্রহ বেশি তার।“জো বাইডেন এখন আর সেনেটে নেই;
সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচারের ভার সেনেট ও কংগ্রেসের হাতে,” শুক্রবার
এমনটাই বলেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। ট্রাম্পকে
দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সেনেটের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে। কিন্তু এখন
পর্যন্ত রিপাবলিকান সেনেটরদের বড় অংশকেই সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্টের পক্ষে
দেখা যাচ্ছে। “তাকে দোষী সাব্যস্ত করার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য,” শুক্রবার সিএনএনকে এমনটাই বলেছেন মিসিসিপির রিপাবলিকান সেনেটর রজার উইকার। শুক্রবার
ফ্লোরিডায় এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করলে
সদ্য বিদায়ী এ প্রেসিডেন্ট বলেন, “কিছু তো করবোই, কিন্তু এখনি না।”ট্রাম্প এখন তার মার-আ-লগো গলফ ক্লাব থেকে ৫ মাইল দূরের একটি বাড়িতে থাকছেন, যাকে তিনি ডাকছেন ‘শীতকালীন হোয়াইট হাউস’ নামে।