বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল
আশরাফুল আনোয়ার রোজেনের। ইচ্ছা ছিল বউ নিয়ে ফিরবেন পালকিতে। সে ইচ্ছা পূরণ
হয়েছে রোজেনের। লাল সেরোয়ানি পরে ঘোড়ায় চড়ে কনের বাড়ি গিয়ে নববধূকে নিয়ে
ফিরেছেন পালকিতে করে।
গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের কোদালিয়া মাস্টারবাড়ি গ্রামের জাকির হোসেনের
ছেলে আশরাফুল আনোয়ার রোজেন। তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি মানবাধিকার
সংস্থায় কাজ করেন।
শুক্রবার পারিবারিকভাবে একই ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামে বিয়ে করেন তিনি। উভয়
পরিবার রোজেনের শখ পূরণে এবং বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতি ধরে রাখতে
ব্যতিক্রমী এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। কনে ঘাগড়া গ্রামের ড. ফরিদ আহম্মদ
সৌবহানির কন্যা নাবিলা সৌবহানি। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
পড়াশোনা করেন।
ঘোড়ায় চড়া বর দেখতে ও বিভিন্ন জাতের ফুল দিয়ে সাজানো গ্রামীণ পালকিতে বউ
দেখতে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ও শিশু বিয়ে বাড়ি ভিড় জমান। শুধু তাই নয়,
ঘোড়া-পালকির বিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
এমন আয়োজন করতে পেরে খুশি বর আশরাফুল আনোয়ার রোজেন। তিনি বলেন, শখ থেকেই
এমন আয়োজন। বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ঘোড়া-পালকিতে বিয়ে। শখের
পাশাপাশি গ্রামীণ সংস্কৃতি ধরে রাখতেই ব্যতিক্রমী এ আয়োজন।
দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয় সেজন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।