![ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন](http://comillarkagoj.com/2021/01/23/1611406562.jpg)
মাঘের শুরু থেকে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীত বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা যেন চারিদিক ঘিরে ফেলছে। রাত বাড়ার সাতে সাথে ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যায় মাঠ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়কসহ গোটা এলাকা। আর এমন তীব্র ঘন কুয়াশায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ¯’বির হয়ে পড়েছে যান চলাচল। শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকে হঠাৎ করে বেড়েছে কুয়াশার তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে গেছে মহাসড়কের চারপাশ। ফলে মহাসড়ককে সব ধরণের যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
শনিবার (২৩ জানুয়ারী) সকাল ১১টা পর্যন্ত কুমিল্লা অংশে সূর্য্যরে দেখা মিলেনি। রাত গড়িয়ে সকাল হলেও ঘন কুয়াশায় বুঝার উপায় ছিল না, দিন আর রাতের পার্থক্য।
বিশেষ করে মহাসড়কের যেসব এলাকায় গাছপালা নেই বা আশে-পাশে বাড়ি-ঘর নেই সেইসব নির্জন জায়গাগুলোতে কুয়াশার তীব্রতা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে বড় জলাশয়গুলোতে ঘন কুয়াশায় মহাসড়ক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। সেইসব এলাকাগুলোতে ফগ লাইটও কাজে আসছে না।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক মিজানুর রহমান জানান- শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাল নিয়ে ঢাকায় রওয়ানার পর থেকেই রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশাও বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১২টায় কোন রকমে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার এলাকায় পৌঁছে গাড়ি সাইড করে থামিয়ে ঘুম দেই। সকালে উঠেও দেখি কিছু দেখা যায় না। হেড লাইট জ্বালিয়ে সকাল ৮টায় পদুয়ার বাজার থেকে রওয়ানা করি। এখন সোয়া ৯টা বাজে মাত্র ২৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে চান্দিনায় আসছি।
কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের চালক মোস্তফা জানান- রাত ১২টায় কক্সবাজার থেকে রওয়ানা করেছি। অন্যান্য সময় কুমিল্লা আসতে ৬ ঘন্টা সময় লাগে। আজ ১০ ঘন্টা পর কুমিল্লা পৌঁছেছি। যেখানে ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসতাম এখন ৪০ কিলোমিটার গতিতে চালাতেও কষ্ট হ”েছ। এমন কুয়াশা ফগ লাইটে ১০-১৫ হাত সামনেও কিছু দেখা যায় না।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) সালেহ্ আহমেদ জানান- ফাঁকা জায়গাগুলোতে কুয়াশার তীব্রতা বেশি দেখা যা”েছ। চালকরা তখন সড়কের পাশে সাদা দাগ বুঝে উঠতে পারে না। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কখনও রোড ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা লাগছে আবার কখনও গাড়ি খাদে পড়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা প্রতিটি গাড়ি চালককে ফট লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দি”িছ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান- তীব্র কুয়াশায় দুর্ঘটনা রোধে নিজে সামনে দেখার জন্য যেমন ফগ লাইট ব্যবহার জরুরী, তেমনি অন্য চালকরা আপনার গাড়ি দেখার সুবিধার্থে পিছনের লাইট জ্বালিয়ে রাখাও অধিক গুরত্বপূর্ণ। সেগুলো নিশ্চিত করতে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।