দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়মিত ক্লাস, বাকিদের সপ্তাহে ১ দিন
Published : Monday, 25 January, 2021 at 12:00 AM
মহামারীতে
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চললেও আপাতত সবার
প্রতিদিন কাসে যেতে হচ্ছে না। শিামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিা
প্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিার্থীদের নিয়মিত
কাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন করে শিা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাস করবে।
পরীা
ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের বিধান করতে রোববার বিদ্যমান আইন
সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাসের প্রক্রিয়ার সময় এ কথা বলেন দীপু মনি।
তিনি
বলেন, “৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শিা প্রতিষ্ঠান খোলার পর দশম ও দ্বাদশ
শ্রেণীর নিয়মিত কাস হবে। অন্য শ্রেণির শিার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে আসবে।
পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার একদিন আসবে।”
তিনি
বলেন, শিার্থীর সংখ্যা অনেক, শ্রেণীকে তাদের গাদাগাদি করে বসতে হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হয় না। তাই সব শ্রেণীর শিার্থীদের এক সঙ্গে
না এনে আলাদা আলাদা দিন কাসে আনার ব্যবস্থা হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর
মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিা অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজের অধ্যদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছর ১৭ মার্চ দেশের সব শিা
প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্য সব শিা প্রতিষ্ঠানে
আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।
চলতি বছরের এসএসসি এবং
এইচএসসি পরীার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে
বলে শিামন্ত্রী দীপু মনি এর আগে আভাস দিয়েছিলেন।
রোববার তিনি সংসদে
বলেন, “আমরা শিা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রস্তুতি নিতে বলেছি। এরপর জাতীয়
উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শ নিয়ে ঘোষণা করব কবে শিা প্রতিষ্ঠান খুলব।”
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীা নেয়নি সরকার।
তবে
শিার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির
ছাত্র-ছাত্রীদের সংপ্তি সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের
ব্যবস্থা করা হয়।
আর গতবছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীা নেওয়া সম্ভব না
হওয়ায় শিার্থীদের ফল ঘোষণা করা হবে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের
ফলফলের ভিত্তিতে। সেজন্য রোববার সংসদে আইন সংশোধন করে বিল পাস করা হয়।