দেশে
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাত জন মারা গেছেন। এর আগে গত
বছরের ৮ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য
অধিদফতর। অর্থাৎ আট মাস ২৫ দিন পর মৃতের সংখ্যা আটের নিচে নেমে এলো।
গত
বছরের ৮ মার্চ প্রথম তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকার। এর
ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত করোনা বিষয়ক
নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাত জনকে
নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন আট হাজার ৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায়
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৫৪ জন, এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ
৩৪ হাজার ৪০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। এ নিয়ে
সুস্থ হলেন চার লাখ ৭৮ হাজার ৯৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ
করা হয়েছে ১২ হাজার ২৭৯টি, আর নমুনা পরীা করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৫টি। এখন
পর্যন্ত মোট নমুনা পরীা করা হয়েছে ৩৬ লাখ ২৭ হাজার ৪১৩টি। এরমধ্যে সরকারি
ব্যবস্থাপনায় পরীা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৪টি এবং বেসরকারি
ব্যবস্থাপনায় সাত লাখ ৯১ হাজার ৬৩৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার তিন
দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গত ২৪
ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক
দশমিক ৫১ শতাংশ।
দেশে বর্তমানে ২০৪টি পরীাগারে করোনার নমুনা পরীা করা
হচ্ছে। এরমধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আরটি-পিসিআর পরীাগার রয়েছে ১১৬টি,
জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীা করা হচ্ছে ২৮টি পরীাগারে এবং র্যাপিড
অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীা করা হচ্ছে ৬০টি পরীাগারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা
যাওয়া সাত জনের মধ্যে পুরুষ ছয় জন, আর নারী একজন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন
পর্যন্ত পুরুষ মারা গেছেন ছয় হাজার ১৩৩ জন, আর নারী মারা গেছেন এক হাজার
৯৬১ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ, আর নারী ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বয়স
বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন পাঁচ জন, ৫১
থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন একজন। তাদের
মধ্যে ঢাকা বিভাগের তিন জন, চট্টগ্রাম বিভাগের দুই জন আর রাজশাহী ও খুলনা
বিভাগের আছেন একজন করে। সাত জনের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ছয় জন এবং
বাড়িতে একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৪১৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন
২৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫২ জন, রংপুর বিভাগের ১১ জন, খুলনা বিভাগের ৪৩
জন, বরিশাল বিভাগের ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৪ জন, সিলেট বিভাগের ৩২ জন এবং
ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত
হয়েছেন ৪৭৪ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৫১২ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত
হয়েছেন ছয় লাখ ১৮ হাজার ৫৮ জন, ছাড়া পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার ২৫৪ জন।
বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৪ হাজার ৮০৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে
আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৬৯ জন, ছাড়া পেয়েছেন ১০১ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে
যুক্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ২৪ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৫০৪ জন। বর্তমানে
আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৫২০ জন।