ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাঘে-সিংহে কাঁপল কুমিল্লা
আবাহনী ২-২ মোহামেডান
তানভীর দিপু:
Published : Friday, 29 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 29.01.2021 1:31:28 AM
বাঘে-সিংহে কাঁপল কুমিল্লাপুরোনো আমেজে ফিরলো আবাহনী-মোহামেডানের ফুটবলের লড়াই। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় রোমাঞ্চকর এই বিপিএল ম্যাচে কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে গ্যালারি ভরা দর্শক দীর্ঘদিন পর উপভোগ করলো আসল ‘সুপার ক্যাসিকো’। মর্যাদার লড়াইয়ে কোচ ম্যারিও ল্যামোসের আবাহনীকে অপরাজিত  হয়ে হোমগ্রাউন্ড থেকে ফিরতে দিলো না মোহামেডান কোচ শন লেনের সাদা-কালো শীষ্যরা। চলতি লিগে এই প্রথম পয়েন্ট ভাগাভাগি করল আবাহনী।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে গতকাল ‘বাঘে-সিংহে লড়াই’ ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়েছে। জোড়া গোল করেন মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের মালির স্ট্রাইকার সুলেমানে দিয়াবাতে। আবাহনীর গোলদাতা ব্রাজিলিয়ান ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ দি সৌজা ফিলহো এবং বাংলাদেশী রাইট উইঙ্গার জুয়েল রানা। অনেকদিন পর মাঠের খেলা যেমন আনন্দ দিয়েছে দর্শকদের তেমনি, গ্যালারিতে দর্শকের উপস্থিতি মন কেড়েছে বিদেশী দুই কোচ আর ফুটবলারদের।
এই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগীর আগে আবাহনী লিমিটেড বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে হারিয়ে লিগে শুভসূচনা করে। নীল-আকাশীর দল পরের দুই ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির বিপে জিতেছিল। আর এই লিগেই এটি মোহামেডানের দ্বিতীয় ড্র। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে হারিয়ে লিগ শুরুর পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরেছিল অধিনায়ক উরু নাগাতার দল। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপে পয়েন্ট ভাগ করে মোহামেডান।
গতকাল বিকেলে কুমিল্লায় ধর্মসাগড় পাড়ে আবাহনী এগিয়ে যেতে পারত ৫ মিনিটের সময়। সতীর্থের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ ভালো অবস্থানে থেকেও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। ১৪ মিনিটে আফগান ডিফেন্ডার সাইঘানির ফ্রি কিকে ব্রাজিলিয়ান বেলফোর্টের হেডে পাস বাড়ানোর পর ফিলহোর হেডে এগিয়ে যায় আবাহনী।
ঠিক ৩ মিনিট পরই পাল্টা জবাব দিয়ে লড়াইয়ে ফেরে মোহামেডান। জাফর ইকবালের ক্রস আবাহনীর ডিফেন্ডারের পা থেকে ফিরে আসার পর আবার পেয়ে যান আবিওলা নুরাত। নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের পাস বাপ্পীর পা হয়ে যায় গোলপোস্টের সামনে থাকা দিয়াবাতের কাছে; তারপর নিখুঁত ফিকে ল্যভেদ করেন মালির এই স্ট্রাইকার সুলেমান দিয়াবাতে। ৩৩ মিনিটে সাদউদ্দিনের লম্বা ফ্রি কিক বেলফোর্ট হেড করে নামিয়ে দেওয়ার পর ফিলহোর শট চলে যায় বাঁ দিকে থাকা জুয়েলের পায়ে। নিখুঁত কোনাকুনি শটে ল্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৩৬ মিনিটে জুয়েলের শট জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীকে মন খুলে খেলতে দেয়নি মোহামেডান। ৬৬ মিনিটে সমতায় ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তোলে মোহামেডান। সোহাগের কর্নারে নুরাতের ব্যাকহিল ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফেরার পর বল উপরে পাস তুলে দেন ক্যাপ্টেন উরু নাগাতা। আর দিয়াবাতের ব্যাক ভলিতে চোখের পলকে বল জালে জড়ায়।
৭৮ মিনিটে জাপানি মিডফিল্ডার নাগাতার দূরপাল্লার শট ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে যায়। বাকিটা সময়ে কোনো পই পায়নি জয়সূচক গোলের দেখা। চার ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ১০, মোহামেডানের পয়েন্ট ৫।