Published : Thursday, 28 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 28.01.2021 1:54:20 AM
মাসুদ আলম:
কুমিল্লায়
চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান জিলানী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক
লীগ নেতা আবদুস সাত্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে
পিবিআই। রিমান্ডের বিষয়ে শুনানী পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার আদালতের
মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা
শাহবাগ এলাকা থেকে জিল্লুর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ২ নং আসামি সাত্তারকে
গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এছাড়া সাত্তার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক
সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন হত্যাকা-ের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করে
পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আনোয়ার আদালতে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দিয়েছে তা যাচাই-বাছাই করে দেখছে পিবিআই।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও
রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত ১১ নভেম্বর কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার ও
কাউন্সিলর আবুল হাসানের নেতৃত্বে মোটর সাইকেলযোগে সন্ত্রাসীরা জিল্লুর
রহমান জিলানীকে কুপিয়ে হত্যা করে। মঙ্গলবার বিকালে মামলার ২ নং আসামি আবদুস
সাত্তারকে ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর কুমিল্লা কার্যালয়ে
নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউন্সিলর আবদুস ছাত্তার জিলানী
হত্যাকা-ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা
হচ্ছে। বুধবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার
কার্য্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ
সুপার মিজানুর রহমান। এসময় পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান,
পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথসহ অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআই
সূত্রে জানা যায়, জিল্লুর রহমান জিলানী হত্যাকা-ের পর দায়ের করা মামলার
আসামি কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক
ছিলেন। একেক সময় তিনি একেক স্থানে অবস্থান করেন। পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ
সুপার মিজানুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে তিনি ঢাকার শাহবাগ থানা এলাকায়
অবস্থান করছেন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিকালে তাকে
গ্রেফতার করার পর রাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। হত্যাকা-ের বিষয়ে তাকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার (২৭ জানুয়ারি)
আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে আব্দুল কাদের নামে পুলিশ এক আসামিকে
গ্রেফতরা করে। মামলাটি পিবিআইতে আসার পর নুরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার
করে পিবিআই। এরই মধ্যে এ মামলায় এজাহার নামীয় ১৫ জন উচ্চ আদালত থেকে ৬
সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করেছেন। গত ৩০ নভেম্বর থেকে
মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
এদিকে বুধবার পিবিআই কার্যলয়ে উপস্থিত
দেলোয়ার হত্যা মামলার স্বাক্ষী বল্লভপুর (সামবক্সী) গ্রামের মৃত সামছুল
হকের পুত্র শহীদুল হক জানায়, দেলোয়ার হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী
আনোয়ার হোসেন আদালতে ১৬৪ ধাারায় কাউন্সিলর সাত্তারকে মুল পরিকল্পনাকারী
উল্লেখ করে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর কাউন্সিলরের লোকজন
বিভিন্নভাবে তাকে হুমকী দিয়ে আসছে। এমনকি তার ফসলী জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি
কেটে নিয়ে গেছে তারা । এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারী শহীদুল হক জীবনের নিরাপত্তা
চেয়ে কাউন্সিলর সাত্তারের সহযোগী বল্লভপুর (সামবক্সী) গ্রামের মো.আমিনুল
ইসলামের পুত্র হেলাল মোস্তফা (৩৮) ও মৃত আবদুল বারেকের পুত্র শাহাদাত হোসেন
(৩৫) সহ ৬/৭ জনের নামে সদর দক্ষিন মডেল থানায় সাধারন ডাইরী করেছেন।