Published : Saturday, 30 January, 2021 at 6:28 PM, Update: 30.01.2021 6:39:59 PM
চৌদ্দগ্রামের ফাল্গুন করা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শবর্তী রাস্তাা। সময় সকাল সাড়ে এগারোটা।শ’শ’ মানুষের জটলা।উঁকি মেরে স্কুল মাঠের দিকে তাকালেই চোখে পড়ে মহিলা পুরুষের পৃথক লাইন।আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোকজন যার যার জায়গায় অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করছেন।শান্তিপুর্ণ পরিবেশে লোকজন ভোট দিয়ে বের হচ্ছেন।ভোট দিতে পারার আনন্দ আভা দেখা যাচ্ছে লোকজনের ঠোঁটের কোণে।হ্যাঁঁ ,এটি শনিবার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনের একটি কেন্দ্রের কয়েক মিনিটের চিত্র। কেন্ত্রের বাহিরে সড়কে জটলায় থাকা রফিক নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি এসেছেন উপজেলার গুণবতী থেকে।নির্বাচন কেমন হয়- দেখার প্রবল আগ্রহের কারণে তার আসা।তিনি জানান,আমি লোক জনের সাথে কথাবলে জানতে পেরেছি।কেন্দ্রে কোন গোলমাল নেই।যার যার ভোট সে নিজে দিতে পারছে।তিনি বললেন মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারছে এটা দেখে ভীষন আনন্দ পেলাম।কেন্দ্রের বাহিরে দেখা গেল-লাবলু নামের এক যুবক হুইল চেয়ারে বসা এক প্রতিবন্ধীকে নিয়ে যাচ্ছেন।সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই প্রতিবন্ধী লোকটি বললেন-আমি আমার ভোট দিতে পেরেছি,তাই আমার কাছে ভীষণ খুশি লাগছে।কেন্দ্রের দায়িতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, একেন্দ্রে মোট ২১১০ ভোটের মধে বেলা ১১টায় ৫০৮ ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে ।ভোটারের উপস্থিতি ভাল এবং কেন্দ্রের পরিস্থিতি ভাল বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।কেন্দ্রের বাহিরে দেখা মিলে ওই কেন্দ্রের ভোটার উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক মোল্লা বাবলুর সাথে। বাহিরে লোকজনের জটলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখন এলাকায় কোন কাজ নেই।তাই লোকজন নির্বাচন দেখতে এসছেন।ভাল লাগছে,বাহিরের লোকজন আসায় একটা উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।বেলা ১২টায় চান্দিশকরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে একই অবস্থা দেখা গেছে।ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শাহাদাৎ হোসেন বলেন,কেন্দ্রটির ৩২৪৭ ভোটের মধ্যে ওই সময় ১৩৩২ ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।ভোটারের উপস্থিতি এবং কেন্দ্রের পরিস্থিতিও সন্তোষজনক।বেলা পৌঁনে ১টায় সোনাকাটিয়া কেন্দ্রে পৌঁছলে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক আহম্দে জানান,কেন্দ্রটির পরিস্থিতি সন্তোষজনক,ওই সময় পর্যন্ত কেন্দ্রটির ২২শ ভোটর মধ্যে ১৭টি বই চলমান। ইতোমধ্যে ১৫ শত ভোট নেয়া শেষ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফারুক হোসেন জানান,প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতির কারণে কোন কেন্দ্রে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে।সব মিলিয়ে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নির্বাচনকে একটি মডেল নির্বাচন বলা যায়।
বিকেল সাড়ে ৪ টায় চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হারুন অর রশিদ মজুমদার কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট করে পুন: নির্বাচন দাবী করেন।এময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা,সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিযার শাহআলম,পৌর বিএনপির আহবায়ক জিএম তাহের পলাশি ,যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন পাটোয়ারী প্রমুখ।
চৌদ্দগ্রাম মেযরপদে ৪ জন সাধারণ পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।চৌদ্দগ্রাম পৌরসভায় মোট ভোটার ২৮ হাজার ১ শত ৯৭ জন্ এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৪৩ জন এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ১শত ৫৪ জন।১২টি কেন্দ্রের ৭৫টি বুথে ভোট গ্রহন করা হয়েছে।ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সকালে সকল কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যালট পেপার পৌছানো হয়েছে।