টিকা প্রদান প্রশিক্ষণ শুরু . পরবর্তী বিরূপ ঘটনা পর্যবেক্ষণে টিম গঠন--
Published : Monday, 1 February, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.02.2021 1:31:21 AM
তানভীর দিপু:
কুমিল্লায়
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার
ভ্যাকসিন এসে পৌঁছানোর পরপরই শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।
এছাড়া সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানবদেহে ভ্যাকসিন গ্রহণ
পরবর্তী প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলাদা আলাদা
টিম গঠন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার
ভোর সাড়ে ৪টায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কাভার্ডভ্যানে করে ২ লাখ ৮৮ হাজার
ডোজ ভ্যাকসিন ঢাকা থেকে কুমিল্লায় এসে পৌঁছায়। জেলা সিভিল সার্জন
কার্যালয়ের স্টোরেজের সামনে সিভিল সার্জন ডাক্তার নিয়াতুজ্জামান, স্বাস্থ্য
বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের
কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে ভ্যাকসিনের ২৪টি কার্টন ইপিআই কোল্ডস্টোরেজে রাখা
হয়। পরে কর্মকর্তারা বিভিন্ন কার্টন খুলে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ভ্যাকসিন
ভায়ালগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। এর আগে
কুমিল্লা থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ জনের ভ্যাকসিনের চাহিদা উত্থাপন করা হয়।
সিভিল
সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘কুমিল্লায় আমরা সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন
পেয়েছি। ভ্যাকসিন রিসিভিং কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এগুলো স্টোরেজে রাখা
হয়েছে। সঠিক তাপমাত্রায় এগুলো কোল্ডস্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে। টিকা
গ্রহণকারীদের তালিকা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি
থেকে তা প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে গতকাল কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে
করোনা ভ্যাকসিন আসার পরপরই শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ২৫ জন মেডিকেল অফিসারকে প্রশিক্ষণ প্রদান শুরু
করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কো-অর্ডিনেটর ডা. হাসান মাহমুদ, মেডিকেল
অফিসার ডা. সৌমেন রায় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. মুকিত
আহমেদ। এরকম ৩টি ব্যাচকে ২ দিন করে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারাই পরবর্তীতে
উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
আরো জানা
যায়, করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের সবগুলো দিক সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্যও করা
হয়েছে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্যাকসিনেশন ওয়ার্কিং গ্রুপ। এছাড়া জেলা
পর্যায়ে ৮ সদস্য এবং উপজেলা পর্যায়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট ‘টিকা পরবর্তী বিরূপ
ঘটনা পর্যবেক্ষণ’ করার জন্য আলাদা আলাদ টিম গঠন করা হযেছে।
এর আগে
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, কুমিল্লায় প্রথমদিকে সদর হাসপাতাল,
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিএমএইচ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও
সিটি কর্পোরেশনের জন্য নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন প্রদানের বুথ বসানো
হবে। এসব বুথে যারা ভ্যাকসিন প্রদান করবেন, তাদেরকে আগামী রবিবার থেকে
প্রশিক্ষণ দেয়াও শুরু হবে।
সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান আরো জানান,
প্রতিদিন প্রতিটি বুথে ২টি করে টিম কাজ করবে। আরো দুটি টিম স্ট্যান্ডবাই
থাকবে। প্রথম দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এছাড়া নার্স ও কমিউনিটি ম্যাডিকেল অফিসারদের এই প্রশিক্ষণের আওতায় এনে
করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালিয়ে নেয়া হবে।