Published : Monday, 1 February, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.02.2021 1:30:33 AM
ফারুক আল শারাহ:
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন’র ব্যতিক্রম উদ্যোগে বদলে গেছে একটি গ্রামের সামগ্রিক দৃশ্যপট। সরকারের ক্রমাগত উন্নয়নের পাশাপাশি একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনায় উপজেলার বানঘর গ্রামটিতে শহরের রূপ ধারণ করেছে। ‘স্বপ্ন’র ৯ লক্ষাধিক অনুদানে পুরো গ্রাম জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে অর্ধশতাধিক সোলার ল্যাপপোস্ট। গ্রামকে আলোকিত করার পাশাপাশি সংগঠনের উদ্যোগে বাস্তবায়ন হচ্ছে একের পর এক জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনা।
জানা যায়, উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের বানঘর গ্রামের একঝাাঁক তারুণ্যের স্বপ্নের সংগঠন ‘স্বপ্ন’ এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনের উদ্যোক্তারা গরীব, অসহায়দের মানবিক সহয়তা, শিক্ষাবৃত্তি, বিনামূল্যে গাছের চারা, দূর্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, করোনায় সচেতনতা সৃষ্টিসহ সহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। জনকল্যাণমুলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে বানঘর গ্রামীন সড়কের দু’পাশ, মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে ৯ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে অর্ধশতাধিক সোলার ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। সোলারের আলোর ঝলকানি পাল্টে গেছে পুরো গ্রামের চিত্র। গ্রামটি শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসলেও বিদ্যুৎ চলে গেলেও দেখা যায় সোলার ল্যাম্পপোস্টের আলো। রাতের বেলায় আলোর ঝলকানিতে গ্রামটি শহরের রূপ ধারণ করে। তারুণ্যের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগে এলাকাবাসী মহুখুশি।
ওই গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি সোনাইমুড়ি হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাও. মোশাররফ হোসেনের জানান, সোলার ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সারারাত গ্রামটি আলোকিত থাকায় চুরি, ডাকাতিসহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধ হয়েছে। এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগের জন্য তিনি সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ‘স্বপ্ন’ সংগঠনের উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
‘স্বপ্ন’ সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কানাডা প্রবাসী আলাউদ্দিন জানান, বানঘর গ্রামকে উপজেলায় একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে ‘স্বপ্ন’ সংগঠনের উদ্দেশ্য। সংগঠনটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি গ্রামের বেকার যুবকদের সাবলম্বী ও শিক্ষিত সমাজ গঠনে ভবিষ্যতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানান তিনি।