মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারির পর দেশব্যাপী সব ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মিয়ানমারের ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সোমবার ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
ব্যাংক বন্ধের কারণ হিসেবে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুর্বল ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের কথা বলা হয়েছে। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সোমবার ভোর থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে ভোরে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে আটক করার পর দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী।
অং সান সু চির আটকের পর থেকে দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এএফপির খবরে জানা যায়, নেটব্লকস নামের এক নাগরিক সংগঠন বলছে, স্থানীয় সময় আজ ভোররাতে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হয়। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে– দেশটি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।
মিয়ানমার টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও ভাষণে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি এক বছর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন। আর সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সুয়েকে এক বছর মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।