গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকেরা দাবি করেছেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনাভাইরাস সাদৃশ্য (ঊ৪৮৪ক) মিউটেশন পাওয়া গিয়েছে। তারা জানান, মিউটেশন যেকোনও ভাইরাসের সাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য। ভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে। করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত এর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে। একইসঙ্গে ভাইরাস উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকেও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের চরিত্র পরিবর্তন করতে বে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের একটি মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকেরা এসব মত ব্যক্ত করেন। প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশে নতুন অনন্য ঝঅজঝ-ঈড়ঠ-২ ভেরিয়েন্টে শনাক্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে গবেষকরা আরও বলেন, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিনেশন শেষ করার। যত দ্রুত আমরা জনগণকে টিকা দিতে পারব তত তাড়াতাড়ি করোনাজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়া বাধাগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মারাত্মক কোনও মিউটেশনের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবো।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, গণস্বাস্থ্য-আরএনএ মলিকুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দক্ষ গবেষকরা প্রাপ্ত ক্লিনিকাল নমুনা থেকে সার্স কোভ-২ ভেরিয়েন্টের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘একটা অনুরোধ করছি সরকারকে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের দিকে নজর না দিয়ে গবেষণার দিকে নজর দিন। গবেষণার দিকে নজর দিলে করোনাভাইরাস বিষয়ে ব্যাপক আকারে গবেষণা করা যাবে। বাংলাদেশের তরুণ গবেষকরা যতগুলো ভ্যাকসিনের নাম শুনেছেন বাংলাদেশের ছয় মাসের মধ্যে সবগুলো তৈরি করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ৪৩ বিলিয়ন ডলার মজুদ রয়েছে। একটা অত্যন্ত ভালো খবর। সরকারকে অনুরোধ করছি মাত্র হাফ বিলিয়ন ডলার, জনপ্রতি মাত্র ৩ ডলার সরকার গবেষণার জন্য বিনিয়োগ করুক। আমাদের প্রতিটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে পারবে। তাদেরকে গবেষণার সুযোগটা করে দিতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটা মানুষের মঙ্গলার্থে এই গবেষণা করা প্রয়োজন। এই জন্য আমরা বলছি কোয়ার্টার বিলিয়ন গবেষণার কাজে, বাকি কোয়ার্টার ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যয় করা হবে। বিদেশ থেকেও আমরা গবেষক আনতে পারি। বর্তমান সময়ে বাজারে যতগুলো ভ্যাকসিন রয়েছে তার সবগুলোই আমরা ছয় মাসে তৈরি করতে পারি।’