ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : ১০ জন রিমান্ডে
Published : Wednesday, 3 February, 2021 at 12:00 AM
রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় মাহিয়া ফাউন্ডেশন নামের একটি কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার কথা বলে দেড় কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় ১০ আসামিকে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তার (৩৫), আহম্মদ আলী (৫০), মো. মেহেদী হাসান (৫০), মো. মিজানুর রহমান (৫৪), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), মো. মেহেদী হাসান(২৬), মো. গোলাম রায়হান (২৬), মো. মনির উদ্দিন খালেদ (৪৪) এবং নিগার উম্মে সালমা (৪২)।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা রাজধানীর বাড্ডা থানার আফতাব নগরের নুর টাওয়ারে অবস্থিত মাহিয়া ফাউন্ডেশনে শিক্ষিত বেকার যুবকদের উচ্চ বেতনের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সিভি সংগ্রহ করে। চার মাস ধরে তারা চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর মাহিয়া ফাউন্ডেশনের কক্সবাজারের উখিয়ার শাখার কর্মকর্তা পরিচয়ে মনির উদ্দিন খালেদ ও তার স্ত্রী নিগার উম্মে সালমা সিভি সংগ্রহ করে চাকরি দেয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা নেয়। যারা টাকা দিয়েছে, তাদেরকে বৈচিত্র ফাউন্ডেশনের নামে ভুয়া আইডি কার্ড দেয় মাহিয়া ফাউন্ডেশন। চাকরি চলাকালে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। বাকি ১৫ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য। আসামিরা তাদেরকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়। মাসিক বেতন নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার টাকা। বাদী বেতন তুলতে গেলে উখিয়া শাখায় যোগাযোগ করতে বলা হয়। উখিয়া শাখায় যোগাযোগ করলে আসামিরা অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, মাহিয়া ফাউন্ডেশন আকর্ষণীয় বেতনে ৫১০ জন লোক নিয়োগ দিতে বিডিজবসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে আসামিরা ৭ হাজার লোকের সিভি সংগ্রহ করে। আসামিরা প্রায় ১০০ লোকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন এ এইচ এম শওকত রেজা নামে এক ব্যক্তি।