নদীতীরের ৮০ ভবন গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
Published : Wednesday, 3 February, 2021 at 12:00 AM
ভারত থেকে নেমে আসা মৌলভীবাজারের জুড়ী নদীর দুপাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হয় বিভিন্ন স্থাপনা। নদীতীর দখলে নিয়ে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট তৈরি করায় নদীটি পরিনত হয়েছে খালে। অবৈধস্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য অনেকবার দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি। অবশেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুড়ী নদীর দুই পারে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনায় দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন। অভিযানে নদীপারের একটি অংশে গড়ে উঠা হাজী মাহমুদ আলী শপিং কমপ্লেক্সের তিনতলা ভবনের নদীর অংশ ভেঙে ফেলা হয়। দুই দিনের অভিযানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৮০টি ভবন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, নদীর দুপারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের খবর পেয়ে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমান। উৎসুক জনতাকে সামাল দিতে পুলিশের বেগ পেতে হয়। উচ্ছেদের সময় দখলকৃত অনেকেই খাস জমির বন্দোবস্ত কাগজ দেখালেও শেষ রক্ষা হয়নি।
অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আল-আমিন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জুড়ী নদীর দুই পাশ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে একটি পক্ষ। নদীর জায়গা দখল করে অনেকেই স্থায়ী বিল্ডিং, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট স্থাপন করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলায় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ অনেকটা বিঘিœত হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অনেকবার দখলদারদের নোটিশ দেওয়ার পরও অনেকে স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। আমরা অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান রুহুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘যারা নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। নদীর পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা দখলদারদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। পরবর্তীতে আরও অভিযান চালানো হবে।’