চট্টগ্রাম টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশের শেষ দিনে চাই ৭ উইকেট। অসাধারণ এক রেকর্ড গড়ার অপোয় থাকা মেহেদী হাসান মিরাজের চোখ ৩ উইকেটে।
চট্টগ্রাম
টেস্টে শেষ দিনে রোমাঞ্চ ছড়াতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯৫ রানের ল্েয
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেট হারালেও শেষ ঘণ্টায় দারুণ প্রতিরোধ গড়ে। মায়ার্স ও
বুনার প্রতি আক্রমণে ১৫.৪ ওভারে ৫১ রান তুলে দিন শেষ করেন। দীর্ঘ দিন পর
মাঠে নেমে জয় পেতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেট পেতে হবে। এ টেস্ট জিতলে টেস্ট
চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের খাতা খুলবে মুমিনুলের দল।
দলকে জয় দেওয়ার পাশাপাশি
ব্যক্তিগত ঝুলি ভারী করার অপোয় মিরাজ। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি
পেয়েছেন মিরাজ (১০৩) । বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৭
উইকেট। যদি আরও ৩ উইকেট নিতে পারেন তাহলে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাচে
একশর বেশি রান ও ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়বেন মিরাজ।
সর্বপ্রথম ম্যাচে
১০ উইকেট ও একশর বেশি রান পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালন ডেভিডসন। ৯১ বছর
বয়সি ডেভিডসন ১৯৬০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপে ব্রিসবেনে ১২৪ রান (৪৪+৮০) ও
১১ উইকেট নিয়েছিলেন। গ্রেট ইয়ান বোথাম ২০ বছর পর ভারতের বিপে মুম্বাইয়ে ১১৪
রান ও ১৩ উইকেট নেন।
একই প্রতিপরে বিপে ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের
কিংবদন্তি ইমরান খান ১১৭ রান ও ১১ উইকেট নেন। ৩১ বছর পর সাকিব আল হাসান
ঢুকেন সেই কাবে। ২০১৪ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপে সাকিব ১৪৩ রান ও ১০
উইকেট নেন।
৩ উইকেটের নিতে পারলে চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্ট
ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের স্বাদ পাবেন মিরাজ। পাশাপাশি যৌথভাবে দ্রুততম একশ
উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়বেন। দেশের হয়ে প্রথম একশ উইকেট পেয়েছিলেন মোহাম্মদ
রফিক। এজন্য ৪৮ ইনিংস লেগেছিল তার। এরপর সাকিব ৪৬ ইনিংসে এবং তাইজুল ৪৪
ইনিংসে উইকেটের তিন অঙ্কে পৌঁছান। রোববার ৩ উইকেট নিতে পারলে তাইজুলের
সঙ্গী হবে মিরাজ।
ডানহাতি স্পিনারের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট ছিল
ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট। চট্টগ্রামে নিজের অভিষেক ম্যাচে ডাকেটকে বোল্ড
করেছিলেন অফস্পিনার। তার ৫০তম শিকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় পেয়েছিলেন এ সাফল্য। তার একশতম উইকেট কার হয় সেটাই
দেখার।