ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গল্প: তালবাদ্যের কলস
Published : Sunday, 7 February, 2021 at 12:00 AM
গল্প: তালবাদ্যের কলস খালেদ চৌধুরী ||
[ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফ্যাস্টিভালের সুর সম্মোহনে, কীভাবে যে পাঁচটা রাত কেটে যায় বুঝতেই পারিনি। আমাদের কাছে আশ্চর্য লাগে গুরু কানাইকড়ি মানির সম্মিলিত তালবাদ্যের অনন্য পরিবেশনা। গুরুর দুই সহযোগী মৃদঙ্গ এবং কাঞ্জিরা বাজায়। ঘটম কলসি আকৃতির এক ধরনের মৃৎপাত্র। শীতকালে খেজুর গাছে রসের জন্য টানানো কলস দিয়ে গুরুজী যা করেছে-চল্লিশ হাজার দর্শক বিহ্বল হয়ে যায়। আমাদের মনে হয়-গুরুজী মাটির কলসিকে কথা বলিয়েছেন। আমরা কিছুতেই সুরের বিহ্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারছিলাম না। এর মধ্যে আমাদের একজন প্রস্তাব দেয়-চল আমরা একটি খেলা খেলি। সে বলে, ‘একটা ছেলে, একটা মেয়ে, ২/৩ জন বন্ধু, একটা কলেজ, একটা মার্কেট, একটা নদী। এই বিষয়গুলো রেখে আমরা একটা গল্প লেখব। যদিও এভাবে বিষয় ঠিক করে গল্প লেখা যায় না। আমরা বাকি ৪ জন তার প্রস্তাবটি সর্বাত্মকরণে সমর্থন করি। আমরা আরো একটি সিদ্ধান্ত নেই। যার গল্পটি সেরা বলে বিবেচিত হবে-আমরা তাঁর প্রেমের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে তাঁর হাত খরচ যোগান দিতে বাধ্য থাকব। এমন কি গল্প বিজয়ী যদি পালিয়ে বিয়ে করে, যদি পুলিশি ঝামেলা হয়, তখনো আমরা গল্প বিজয়ীর সঙ্গে সুপার গ্লুয়ের মতো আটকে থাকব। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে, আমরা এই চুক্তিটি সুন্দর হস্তাক্ষরে লিপিবন্ধ করে-৫ টি অনুলিপি প্রত্যেকের কাছে সযতেœ  রেখে দেই। যেন আমরা প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে না-যাই। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ৫ টি গল্প লেখা হয়। গল্পগুলো নিয়ে আমরা ঐতিহাসিক ধর্মসাগর পাড়ে বসি। ফারুক ভাইয়ের দোকানের কফির চুমুকে, আমরা সেরা গল্প নির্বাচনের জন্য একটা মার্কিং পদ্ধতি ঠিক করি। প্রত্যেকে যার যার গল্প পাঠ করবে। যে গল্প পাঠ করবে, সে ছাড়া বাকি ৪ জন নম্বর দেবে। ৫ টি গল্প পাঠ শেষ হলে আমরা প্রাপ্ত নম্বও যোগ করে চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করি। নির্বাচিত গল্পটি আপনি এখন পড়বেন। আমরা অনুরোধ করব গল্পটি পাঠের সময়-আপনি কোনো বিরতি দিবেন না। যদি কাউকে ফোন দিতে হয় এখনি দিন। এই গল্পটির মাধ্যমে আমাদের একজন বন্ধু চার বন্ধুর গভীর আশ্বাস অর্জন করেছে। আমরা তাঁর প্রেমের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আপনাকে আর বিরক্ত করব না। ৩,২,১ অ্যাকশন।]  
১.
এষা খুব আয়েশ করে ফুসকা খাচ্ছে। তার ঠোঁট দুটি লাল লিপস্টিকে রাঙানো। তাকে অথবা তার ঠোঁট দেখলে কেমন জানি একটা শিহরণ মুহিতের সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। এষা খুব সুন্দর করে দু আঙুলে ফুচকা ধরে, টকের কৌটা থেকে চামচ দিয়ে ৩/৪ চামচ তেঁতুলের টক নেয়। ছোট একটা হা করে মুখের ভেতরে মাখানোফুচকা চালান দিয়ে হালকা চোখ বন্ধ করে। সে যখন চোখ বন্ধ করে তখন তাঁর চোখের পাতা প্রজাপতি হয়ে যায়। তাঁর ফুচকা খাওয়ার দৃশ্য দেখলে যে কারো মুখে জল চলে আসবে। মুহিত জানে না কলাভবনের সামনে এষা ফুচকা খাচ্ছে। মুহিত আবুকে বলে, ‘তুইতো মেয়েদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেছ্। প্রেমও করস। তোর কি কন্যা রাশি?’
: শোন মুহিত। তুই ইদানীং মেয়ে বন্ধুর জন্য উতলা কারণ কি?
: জানি না।
: আমাদের ক্লাসে অনেক সুন্দরী। একজনকে পছন্দ করলেই তো হয়। টিনাতো দেখতে খারাপ না। তুর কথা বলবো?
: রুচি আছে তর?
: কেন টিনা খারাপ কী?
: তাহলে তুর জন্য প্রস্তাব দেই।
: কি হইছে বলবি তো?
: তুই এসব বুঝবি না।
: কি মামা কোন পছন্দ আছে ?
: সেকেন্ড ইয়ারের এষাকে দেখছস্। মানুষের চোখ এত সুন্দর হয়।
: বুঝছি মামা। তোমারে কোন রুগে ধরছে।
: কারো প্রশংসা করা যাইবো না।
: না, আমি তা কইতাছি না।
: ওতো এক ইয়ার সিনিয়র।
: সিনিয়র হইছে তো কি হইছে? সুন্দর মানেই শিল্প। শিল্প নিয়া কথা বলার অধিকার সবার আছে।
: তা আছে।
: মামা একটা নম্বর দে টাইম পাস করি।
আবু মুহিতকে বলে, টাইম পাস করতে গিয়া আবার টাইম মারা খাইস না।
২.
নম্বরটা পাওয়ার পর মুহিতের বুক কেমন জানি করে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে নম্বরটা বের করে। ইয়েস বাটন চাপ দিতেই ওপাশে রিং হয়।
: হ্যালো কে বলছেন?
স্নিগ্ধ তরুণীকণ্ঠ। মুহিতের সমস্ত শরীর থরথর করে কাঁপে। সে জড়তায় আক্রান্ত হয়। কোনো কথা বলতে পারে না। লাইন কেঁটে দেয়। এরকম জড়তা আগে কখনো আসেনি। মুহিতের মোবাইল বেজে ওঠে। সবুজ বাটন চাপ দিলে পুনরায় স্নিগ্ধকণ্ঠ। হ্যালো...হ্যালো... সে লাইন কেটে দেয়। ওপাশ থেকে বারবার কল আসে। মুহিত মোবাইলটা অফ করে দেয়। মোবাইলে মেয়ে কণ্ঠ শুনে মুহিতের সব কিছু আওলা হয়ে যায়। তাঁর মুখে কথা আটকে যায়। তাঁর মা তাকে বলে, “কি রে তুরে এরকম লাগছে কেন?” হাসিমুখে সে বলে, “কিছু না মা।” সে কোনো কথা খুঁজে পায় না। তাঁর মাকে বলে, “ভাত খাব। ভাত দেও। কি রান্না করছ?” মুহিতের মা তাঁর উল্টা-পাল্টা কথার কোনো মানে খুঁজে পায় না। তাঁর মা বলে, “কই মাছ ভাজছি।” কই মাছ মুহিতের খুব পছন্দ। ভাজা কই খেতে গিয়ে মুহিতের গলায় কাঁটা আটকে যায়। সে ভাতের দলা গিলে। কাঁটা বের হয় না। সারা রাত খেক খেক করে। কোনো লাভ হয় না। বরং অনের বেশি ঠান্ডা পানি পান করে গলার স্বর বসিয়ে ফেলে। তাঁর গলার স্বর হাস্যকর শোনায়। পরের দিন সে কলেজে গেলেও ক্লাস করে না। আবুকে নিয়ে কান্দিড়পাড়ে যায়। আবু  গলার স্বর নিয়ে কিছু বলে না।
: দোস্ত কার নম্বর দিছস্ কস না?
: নিজে কথা কইয়া বাইর কর কার নম্বর দিছি।
: ফ্যান্ডশিপ হইলেই হয়। তুর কী অবস্থা। বকুলের সাথে নাকি ঝগড়া হইছে?
: ওর নাম মুখে আনবি না। গত পরশু ওর এনজেগমেন্ট হইয়া গেছে। পাত্র ব্যাংকে চাকরি করে।
: তুরে কিছু কইছে?
: কি আর কইব।
মুহিত বুঝতে পারে আবুর প্রচ- মন খারাপ। ও একটু চাপা স্বভাবের। মনের দুঃখ কারও সঙ্গে শেয়ার করে না। ধূলো পথে পায়ের ছাপ কয়েক মিনিটের জন্য স্থায়ী থাকে। সেই ছাপ চাঁদের পিঠে মানুষের স্পর্শ না। আবু হয়তো অন্য কোনো মেয়েকে কাছে টেনে ক্ষরণের কবর দেবে। একটা শূন্যস্থান আর একটা শূন্যস্থান দিয়ে পূরণ করা যায়!
৩.
সামনে পরীক্ষা। মুহিত কিছুতেই পড়ায় মন বসাতে পারছে না। টেবিলে বসে আছে। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছে। ঘুমাবে তা-ও ভালো লাগছে না। মোবাইল হাতে নিয়ে ওই নম্বরে একটা এসএমএস সেন্ড করে, সধশব ধ ভৎরহফংযরঢ়. ঢ়ষং ৎবঢ়ষু সব ু ড়ৎ হ. সে ভাবতে থাকে এসএমএস-এর উত্তর আসবে নাকি আসবে না। তাঁর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। মুহিত মোবাইল বন্ধ করে রাখে। তাঁর গলায় কই মাছের কাঁটা এখনো যায়নি। তাঁর মা হুজুরের কাছ থেকে পড়াপানি আনে। সে তাঁর মাকে না-জানিয়ে পানি বেসিনে ফেলে দেয়। ৩/৪ দিন হয়ে গেলেও তাঁর গলার কাঁটা যায় না। সে তাঁর মায়ের অনুরোধে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খায়। কইয়ের কাঁটা যায় না। গলার স্বরের যা অবস্থা। সে ভাবে, ক্যাম্পাসে গেলে নির্গাত পঁচতে হবে। কিছু করার নেই। সে কলেজে আসে। সফিকের সঙ্গে দেখা।
: কিরে কেমন আছস্?
মুহিত মাথা নেড়ে উত্তর দেয়।
: শরীর খারাপ নাকি? কি হইছে?
: এত বগর বগর করছ ক্যা।
গলার স্বর শোনে সফিক হাসতে থাকে।
: কেমনে হইল তুর এই অবস্থা ?
: কই মাছের কাঁটা আটকাইছে?
: ওষুধ খাইছত?
: কোনো ওষুধে কাজ হইতাছে না।
: এখন তো কইবি ফাইজলামি করি। বিলাইয়ের কাছে যা। বিলাইয়ের ঠ্যাং ধইরা চোখ বন্ধ কইরা কইবি, আমার কাঁটা নাই বিলাইয়ের কাঁটা আছে। দেখবি ডাইরেক অ্যাকশন।
: সময় খারাপ হইলে চাঁনচড়াও মজা লয়।
সফিককে এই কথা বলতে না বলতে এষা তাঁর সামনে দিয়ে উড়োজাহাজের মতো যায়।
৪.
আবুর সঙ্গে মুহিতের দেখা। সে বলে, “দোস্ত কই মাছের কাঁটা ভুগাইতাছে। গলার স্বরের কি অবস্থা দেখছত। ক্লাস করবি  না?” আবু বলে, “ভাল্ লাগতাছে না দোস্ত। চল ঘুইরা আসি।” এ শহরে যেকোনো দিকে ৩০মি বা ৩৫মি হাঁটলেই গ্রামের গন্ধ। তারা নদীর পাড়ে যায়। আবু বলে, “আমার খুব মন খারাপ হলে এখানে আসি। তুর মন খারাপ তো তাই আসলাম।” নদীর উপর ব্রিজ শোয়ে আছে। তারা রেল বিজ্রে দিয়ে নদী পাড় হয়। নদীর উপর দিয়ে ট্রেন পাড় হবার দৃশ্যটা মনোটোনাস। নদী পাড় হবার সময় ট্রেনের ছায়া নদীর জলে পড়ে। ট্রেনে জানলার পাশে তিলোত্তমাদের খুব মানায়। ইন্টারসিটির ললনারা একটু বেশি কিউট। অর্থের সঙ্গে সুন্দরীদের চিরকালই ভালো সম্পর্ক। এর মধ্যে একটা ইন্টারসিটি ট্রেন যায়। আবু এক তরুণীকে ফ্রাইং কিস ছুড়ে দেয়। মুহিত অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে। আবুর ফ্লাইং কিসের জবাবি ফ্লাইং কিস দেখে। কি অদ্ভুত লেনদেন। মেয়েরাও আজকাল অনেক স্মার্ট। ট্রেন চলে যাবার পর আবুকে মুহিত বলে, “তুই এই কাজ করার লাইগা আইছস্? তুর লগে থাকলে মাইর খাইয়া মরমু।” সে বলে, “মরতে হইব না। তুর যখন খুব মন খারাপ থাকবে। এখানে আইসা ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিবি? দেখবি, মন ভালো হয়ে যাবে।” মুহিত বলে, “আমি কোনো দিন এই কাজ করতে পারবো না।” তাঁরা মেঠোপথে হাঁটে। রাস্তা যেন ধূলোর জাজিম। পলকা বাতাসে পথের ধূলো কুয়াশার আকার ধরে।
৫.
রাত আনুমানিক বারটায় মুঠোফোনের ম্যাসেজ টিউন বেজে ওঠে। যিড় ৎ ঁ? যিু ৎ ঁ ংবহফ ংসং. ৎবঢ়ষু সব ধং ংড়ড়হ ধং ঢ়ড়ংংরনষব. মুহিতের মনটা বাজখাই। কম করে হলেও এক হাজার বার এসএমএসটা পড়েছে। তাঁর সারারাত ঘুম হয়নি।  সকালে কলেজে যায়। আবুকে নিয়ে ক্যাম্পাসের বাগানে ঢুকে। আবু বলে, “তুর কি হইছে?”
: বল, কাউরে কিছু কইবি না।
: আচ্ছা ঠিক আছে কমু না, কি হইছে?
: ওই নম্বর থাইকা এসএমএস আইছে?
: কথা কইছস্?
: না।
: দাঁড়া আমি ওর লগে কথা কয়নের ব্যবস্থা কইরা দিতাছি। তুর ফোনটা দে?
আবুর দেয়া মোবাইল নম্বরটা এষার। মুহিতের ভালোলাগার বিষয়টি এষাকে জানায়। আবু তাদের সামনা-সামনি কথা বলার ব্যবস্থা করে। সেদিন ক্যাম্পাসে মুহিত আর এষার দেখা হয়। মুহিত এষাকে কি বলে সম্বোধন করবে, ভেবে পায় না। এষাই শুরু করে। আবুর কাছে শুনেছি, তুমি আমাকে পছন্দ কর। মুহিত চুপ করে থাকে। আমারও তোমাকে ভালো লাগে। ভালোবাসি কিনা জানি না। আমাদের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। তুমি যদি আমার ক্লাসেরও হতে-তাহলে না হয় বিষয়টা ভাবতাম। আমি কিছুই ভাবতে পারছি না। আমার ক্লাস আছে বলে-এষা চলে যায়।
৬.
মুহিত দীর্ঘশ্বাসের বেলুন ওড়ায়। পৃথিবীর প্রথম মানুষটার মতো তাঁর বিষম একা লাগে। সে রেল লাইনে একা হাঁটে। প্রথমবারের মতো ধূমপান করে। এখানে কেন এসেছে? আত্মহত্যা করার জন্য! ফ্লাইং কিস ছুড়ে মন ভালো করার জন্য? সে উদ্দেশ্যহীন। আবার ভাবে প্রেমের যন্ত্রণা ভুলতে আত্মহত্যা করে, সমস্ত জীবন ছাই করার কোনো মানে হয় না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা ট্রেন আসে। দেখা যাক, মুহিত কি করে? ট্রেনটা চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে যায়। সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারে না। দেখে এষা ধূলোর কুয়াশা পাড়ি দিয়ে তাঁর দিকে আসছে। এটা কোনো হিন্দি ছবির দৃশ্য নয়। এষা মুহিতের কাছে এসে তাঁর গালে একটা থাপ্পড় মারে। আর কাঁদতে কাঁদতে বলে, “রেল লাইনে মরতে আসছ। ট্রেনতো চইলা গেছে ঝাঁপ মারলা না কেন?”

যাদের হৃদপি- দুর্বল এই গল্পাংশ তাদের জন্য নয়
জীবন ট্র্যাজিডির সমাহার। আমরা তালবাদ্য শুনে গল্পলেখায় মনোনিবেশ করেছিলাম। আমাদের এক বন্ধু তার জীবনের রূপ, রস, গন্ধ মিশিয়ে নিজের গল্পটা আমাদের শুনিয়েছিল। তখন আমরা তাঁর প্রেম কাহিনির কিছুই জানতাম না। মূলত এই গল্পটা আমাদের বন্ধু মুহিতের জীবন সত্য। সেদিন মুহিত রেল লাইনে গিয়েছিল। মুহিতের দলিত মাংস চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক বীভৎস সিম্ফনি।