ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
রেলে পণ্য আমদানি বাড়ছে বেনাপোল দিয়ে
Published : Tuesday, 9 February, 2021 at 12:15 PM
রেলে পণ্য আমদানি বাড়ছে বেনাপোল দিয়েবেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলপথে চলতি অর্থ বছরের ছয় মাসে ২৬১ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে সরকার। অন্যদিকে, রেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া বাবদ দুই কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আয় করেছে। এ সময়ে রেলপথে পণ্য আমদানি হয়েছে ৮২২ কোটি টাকার। যার পরিমাণ দুই লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪.৩ টন। অর্থ বছরের শেষে এ পথে দ্বিগুণ রাজস্ব ও ভাড়া আদায় হবে বলে জানান রেলওয়ের বেনাপোল স্টেশন মাস্টার শাহিদুজ্জামান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারতের বনগাঁ পৌরসভার কালিতলায় পণ্যবাহী ট্রাক দিনের পর দিন পার্কিংয়ে রেখে একটি সিন্ডিকেট নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিল। ওই পার্কিং থেকে কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে ৩০-৪০ হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক পাঠাতেন সিন্ডিকেট সদস্যরা, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে বাংলাদেশি আমদানিকারক ও ভারতের রফতানিকারকরা হিমশিম খাচ্ছিলেন। পণ্য চালানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের বাজারে। তারপরও দুই দিন পর পর নানা কারণে ধর্মঘটের কারণে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এখন চরম বিরক্ত।

এ অবস্থায় দুই দেশের কাস্টমস, রেল মন্ত্রণালয় ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা ২০২০ সালের ৪ জুন রেলপথে পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর করোনার আগে বেনাপোল রেলপথে কেবল কার্গো রেলের মাধ্যমে ভারত থেকে সপ্তাহে একটি বা দুটি চালান আসতো। আবার কখনও দেখা গেছে, মাসে একটিও ট্রেন আসছে না। কিন্তু বর্তমানে চিত্র ভিন্ন। প্রতিদিন কার্গো ট্রেন, সাইডোর কার্গো ট্রেন এবং প্যার্সেলভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে সরকারের যেমন রাজস্ব আয় বেড়েছে, তেমনি রেলেরও বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে। এতে কমেছে ট্রাক চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য, ব্যবসায়ীদের সময় ও খরচও সাশ্রয় হচ্ছে।

বেনাপোল রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল স্থলবন্দর রেলপথে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪ দশমিক ৩ টন। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এদিকে, গত বছরের ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ পথে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৭৩ দশমিক ৯ টন। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় আট কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা।

রেলওয়ের বেনাপোল স্টেশন মাস্টার শাহিদুজ্জামান জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে স্থলপথের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায়, খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি আরও জানান, আগে এ পথে চাল, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শুকনা ঝাল, পাথর ও ফ্লাইঅ্যাশ আমদানি হতো। বর্তমানে বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য, ডেনিম ফেব্রিক্স, পিকআপ, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এভাবে যদি রেলপথে পণ্য আমদানি অব্যাহত থাকে তাহলে এ বছর রেলখাতে সরকারের রাজস্ব দ্বিগুণ আদায় হবে বলে জানান তিনি।