নিজস্ব
প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ১০ জনের মৃত্যু
হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৮৮ জন। বুধবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে
বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির
এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৩৮৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৩ জন হয়েছে।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে
উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৫
হাজার ২৯০ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল
গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের
২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ
শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট
হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনেরমৃত্যুর খবর
জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৬৯ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ৪২ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩২তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি
জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট
২০৬টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৯৯৯টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে
৩৭ লাখ ৯২ হাজার ২৪১টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের
হার ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক
৫৩ শতাংশ।
ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ২৯ লাখ ৪৮ হাজার
২৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ২১৩টি। গত এক দিনে
যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ আর নারী ৩ জন। তাদের সবাই
হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২
জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে
ছিল। মৃতদের মধ্যে ৬ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন ময়মনিসিংহ বিভাগের এবং ১ জন করে
মোট ২ জন চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ২৩৯ জনের মধ্যে ৬ হাজার ২৪৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৯৬ জন নারী।
তাদের
মধ্যে ৪ হাজার ৫৭৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৫২ জনের
বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৮ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪১২
জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২
জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর
মধ্যে ৪ হাজার ৫৯৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭০
জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৪ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৮ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৮ জন
সিলেট বিভাগের, ৩৫৯ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের
বাসিন্দা ছিলেন।