Published : Thursday, 18 February, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.02.2021 1:59:21 AM
কুমিল্লার
হোমনা থেকে ৩ শিশুকে অপহরণের একদিন পর গাজীপুর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে রাতে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া
হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। হোমনা থানার এসআই মো.
মোতাব্বির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার হোমনার একটি
খেলার মাঠ থেকে মেলায় ঘুরানো এবং আকর্ষণীয় জিনিস কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে
মাইক্রোবাসে করে তাদের অপহরণ করা হয়।
উদ্ধারকৃত শিশুরা হলো- হোমনা
উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে মাহিন (১২), ইউনুস মিয়ার ছেলে
ফয়সাল (১০) ও অলি মিয়ার ছেলে শাহেদ (৯)। এদের মধ্যে মাহিন ঘনিয়ারচর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়, ফয়সাল ও শাহেদ প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
শিশুদের
বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাহিন, ফয়সাল ও সাহেদ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে
ঘনিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাইকেল নিয়ে খেলছিল। এমন সময় একটি
কালো মাইক্রোবাস এসে তাদের কাছে থামে। গাড়ি থেকে তিনজন লোক নেমে এসে তাদের
মেলায় ঘোরানো এবং পছন্দের জিনিস কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখায়।
প্রথমে তারা
যেতে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়। গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মুখে
স্প্রে করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ঘুমিয়ে পড়ে। চলার পথে তারা গাড়িতে
বমিও করেছিল। সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙলে তারা অচেনা জায়গায় একটি দোকানের সামনে
বেঞ্চে বসা অবস্থায় নিজেদের আবিষ্কার করে। অচেনা জায়গা বুঝতে পেরে তারা ভয়ে
কান্নাকাটি শুরু করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের কান্নাকাটি শুনে এগিয়ে
এলে মাহিন তাদের ঠিকানাসহ মামা ও তার বাবার মোবাইল নম্বর দেয়। সেখান থেকে
লোকজন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুদের স্থানীয় বাসন থানা হেফাজতে দেয়।
গাজীপুর
বাসন থানা পুলিশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার হোমনা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
পরে রাতে উদ্ধার তিন শিশুকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাহেদের
মামা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও
না পেয়ে ওই দিন রাতেই হোমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেছিলাম।
এ
ব্যাপারে হোমনা থানার এসআই মো. মোতাব্বির হোসেন বলেন, গাজীপুরের বাসন থানা
পুলিশের সহযোগিতায় অপহৃত ৩ শিশুকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাতে স্বজনদের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত
চলছে।