তিতাস সেচের অভাবে সহস্রাধিক একর জমির অনাবাদি
Published : Monday, 1 March, 2021 at 12:00 AM
কবির হোসেন,তিতাস ঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ৫টি ইরিগেশন প্রজেক্টের সহস্রাধিক একর জমির সেচের অভাবে ও শ্রমিক খরচ বৃদ্ধির কারণে অনাবাদি রয়েছে। প্রতি বছরই বাড়ছে অনাবাদির জমির পরিমাণ।
সরেজমিনে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাইঠা নদীতে শুকনো মৌসুমে পানি না থাকায় সেচের প্রকট সংকট দেখা দেয়। বড় খাল ও ডাকাতিয়া খালটি প্রভাবশালীদের দখলে ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় মাঠ থেকে ফসল আনতে শ্রমিক খরচ অনেক বেড়ে যায়। তখন ফসলের দামের চাইতে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি পড়ে। তাই কৃষকরা চাষাবাদের প্রতি অনাগ্রাহ হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের দাবি মাইঠা নদী খননসহ দুইটি খাল দখল মুক্ত করে খনন করলে কৃষকরা আবারও চাষাবাদ করতে আগ্রহ পাবে এবং শ্রমিক খরচ ও সেচ খরচ অনেকটা সাশ্রয় হবে।
শাহপুর উত্তর পাড়া স্কীম ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মাইঠা নদী খননের জন্য বিএটিসি প্রকৌশলী ফয়সাল কিছু দিন আগে পরিদর্শন করে গেছেন। এর আগেও এলজিইডি আগারাঁও প্রকল্প পরিচালক জলিল, প্লানিং অফিসার মিজানুর রহমান ও প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বদর উদ্দিন সরেজমিনে কয়েক বার পরিদর্শন করেছেন।
সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আর্কষণ করে জসিম উদ্দিন বলেন, কৃষককে ফসল আবাদিমুখী করতে এই স্কীমের উপর আমি ৩ লাখ টাকা কৃষি লোন নিয়ে বিপাকে পড়েছি। কারণ কৃষকরা চাষাবাদ না করায় স্কীমটি চালাতে পারছিনা এবং ঋণ দিতে পারছিনা। বর্তমানে যদি ধান কাটার একটি হারবাল মেশিন ও চাষের জন্য একটি ট্রাকটর দেয়া হয় তাহলে কৃষকরা অনেকটা আগ্রহ পাবে এবং শ্রমিক খরচ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি আমিও স্কীমটি চালু করতে পারবো এবং আমার ঋণটিও পরিশোধ করতে পারবো।