Published : Monday, 1 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.03.2021 1:29:53 AM
মো. মিজানুর রহমান||
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লক্ষীনগর গ্রামের মৃত বাচ্ছু মিয়ার পুত্র মো. শাহজাহান মিয়া নাবী শীতকালীণ টমেটো চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন। সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড এর বিপুল প্লাস নামক টমেটোর চারা রোপনের ২ মাস ২০ দিন পর তিনি ফলন তুলতে শুরু করেছেন। ৮০ শতক জমিতে তিনি টমেটো চাষ করেছেন। চারা রোপনের পূর্বে ২০ থেকে ২২ দিন চারা বীজতলায় রেখেছেন বলে তিনি দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে জানিয়েছেন। বর্তমানে টমেটোর কেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি করে তিনি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। গত বছর একই সময় টমেটোর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
সরেজমিন লক্ষীনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় তিনি তাঁর টমেটো ক্ষেতে লাগানো টমেটো গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলা জানা যায় গত ৪০ বছর ধরে নানা সবজি চাষ করে এলাকার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন পাইকারী বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালভাবে জীবন যাপন করছেন। তিনি জানান, শীতকালে বাঁধা কফি, ফুল কফি ও আলুর চাষ করেন। আর গ্রীষ্মকালে গ্রীষ্মকালীণ টমেটো ছাড়াও করল্লা, ঝিঁঙ্গা, শসা, চাল কুমড়া, লাউসহ নানা সবজি চাষ করে আসছেন। গত বছর তিনি টমেটো বিক্রি করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। কৃষক মো. শাহজাহান মিয়ার ২ মেয়ে সন্তানের জনক। তাঁর বড় মেয়ে সালমা স্থানীয় নেউরা এম আই উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে উম্মে হাফসা দিশাবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, তিনি নিয়মিতভাবে কৃষি অফিসে যোগাযোগ রক্ষা করে নানা পরামর্শ নিচ্ছেন। তাঁর দেখাদেখিতে এলাকায় বর্তমানে অনেক বেকার যুবক ও কৃষক সবজি চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন। হিমাগারের অভাবে সবজির মূল্য কম হলেও কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।