পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে সম্প্রতি ইরানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, তারা বিষয়টি নিয়ে অর্থবহ কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদে ইউরোপীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরপরই মার্কিন সরকার তার এ অবস্থান ঘোষণা করল।
খাতিবজাদে গতকাল রবিবার বলেছিলেন, পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে ইউরোপ সম্প্রতি যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে তার জন্য বর্তমান সময়কে উপযুক্ত মনে করছে না তেহরান। এই সমঝোতার ব্যাপারে আমেরিকা ও তিন ইউরোপীয় দেশের সর্ব-সাম্প্রতিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে ইরান আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে ইরানের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্যের পরে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘আমরা ইরানের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হলেও একই সময়ে দু’পক্ষের এই সমঝোতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে অর্থবহ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন পরমাণু সমঝোতার বাকি পাঁচ দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনা বসবে।
আমেরিকার দাবি, পরমাণু সমঝোতায় তার ফিরে আসার একই সময়ে ইরানকেও তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ফিরতে হবে। তবে, তেহরানের দাবি আমেরিকা এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর ইরান এতে দেয়া নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরিমাণ কমাতে শুরু করেছে। কাজেই আমেরিকাকে আগে এই সমঝোতায় ফিরে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সুফল বাস্তবে পাওয়ার পর ইরান এই সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতিতে পূর্ণাঙ্গভাবে ফিরে যাবে। সূত্র: পার্স টুডে।