Published : Monday, 1 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.03.2021 1:30:26 AM
মাসুদ
আলম।। খুন, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসায়ী, ওয়ারেন্টভুক্ত এবং
অন্যান্য নিয়মিত মামলাসহ কুমিল্লায় দুই মাসে ২ হাজার ৪০৮ আসামিকে গ্রেফতার
করেছে জেলা পুলিশ। তারমধ্যে শুধু মাদকবিরোধী অভিযানে এই দুই মাসে গাঁজা,
ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল এবং বিভিন্ন ব্যান্ডের দেশি-বিদেশি মদসহ ৪৮৪ জন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন নতুন
রেকর্ড তৈরি করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ। সবশেষ ৪৮ ঘন্টায় কুমিল্লার ১৮
থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত, মাদক এবং নিয়মিত মামলার ৭৪
আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র
জানায়, গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই মাসে খুন, অপহরণ,
চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসায়ী, ওয়ারেন্টভুক্ত এবং অন্যান্য নিয়মিত মামলাসহ ২
হাজার ৪০৮ জন আসামীকে গ্রেফতার হয়েছে। এসব আসামি কুমিল্লা জেলার ১৮ থানার
আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আর মাদক
ব্যবসায়ীদেরকে বিভিন্ন সোর্সের দেয়া তথ্যে থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের
সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ ওই মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের পর
গ্রেফতার দেখানো হয়।
সূত্রের তথ্যে দেখা যায়, দুইমাসে গ্রেফতার ২
হাজার ৪০৮ জনের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১০৪৮ জন; খুন, অপহরণ, চুরি,
ডাকাতিসহ বিভিন্ন নিয়মিত মামলায় ৬৩৮ জন; গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল
এবং বিভিন্ন ব্যান্ডের দেশি-বিদেশি মদসহ ৪৮৪ জন এবং অন্যান্য মামলায় ২৩৮
ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ
জানান, আদালতের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি
পরোয়ানা জারি হয়ে থাকে। পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতারে আদালত কর্তৃক যথাযথ
নির্দেশনা থাকে। একই সাথে অপরাধ নিবারণমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রকে
অপরাধমুক্ত করার উদ্দেশ্যে এবং অন্যান্য অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত
প্রতিষ্ঠায় আদালত মামলার প্রমাণিত অপরাধীদের বিভিন্ন সাজা প্রদান করে
থাকেন। অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধেও
আদালত কর্তৃক সাজা পরোয়ানা জারি হয়। তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে
কুমিল্লা অপরাধ দমনে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন মামলার
আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে কুমিল্লায় মাদক বিক্রি ও পাচার রোধে
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা
হয়। যা অব্যাহত থাকবে।