তানভীর দিপু:
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৭দিন ব্যাপি চারুকলা প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে।
কুমিল্লার ৫৪ জন শিল্পীর চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য নিয়ে এই আয়োজন করা হয়েছে। আজ
৪ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা
একাডেমীতে আয়োজিত প্রদর্শনীতে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত
চারুকলা প্রদর্শনী ছাড়াও থাকছে চিত্রাংকন কর্মশালা। জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও
পথিকৃত কুমিল্লা চারুশিল্পী পরিষদ প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে।
প্রদর্শনীর
সমন্বয়ক ও জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ জানান, কুমিল্লায় জন্মগ্রহন
করা ৫৪ জন চিত্র ও ভাস্কর্য শিল্পী কর্মযজ্ঞ নিয়ে এই আয়োজন করা হয়েছে। এখনো
পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক চিত্রকর্ম ছাড়াও ভাস্কর্য জমা হয়েছে। বরেণ্য
চারুশিল্পী সমরজিত রায় চৌধুরী, খাঁজা কাইয়ুম, নাজমা আক্তার, উত্তম গুহসহ
কুমিল্লার নবীণ প্রবীণ সব শিল্পীরা অংশগ্রহন করছে। চারুশিল্প প্রদর্শনী
একটি উৎসবে পরিনত হয়েছে।
প্রদর্শনীতে জল রঙ, তেল রঙ, এ্যাক্রেলিক,
পেন্সিল স্কেচ, কালার পেন্সিল, মিক্স মিডিয়া, ছাপচিত্র, রিকশা পেইন্টিং,
উডকাট, ভাস্কর্যসহ বিভিন্ন ধরনের চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে।
এদিকে
চারুকলা প্রদর্শণীকে ঘিরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে কুমিল্লার নবীণ-প্রবীণ
শিল্পীদের মিলনমেলা। ৪ তারিখ বিকাল ৪টায় উদ্বোধন হবে প্রদর্শণীটি।
ঢাকা
আর্ট কলেজের শিল্পী মোঃ সামিউল আলম নিজের চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য এনেছেন
প্রদর্শনীতে। তিনি জানান, এমন আয়োজন প্রতিবছরই কুমিল্লায় হওয়া উচিত। দেশ
বরেণ্য শিল্পীদের পাশাপাশি নতুনরা এই প্রদর্শণীতে অংশ নিলে চারুকলায় নতুন
প্রজন্ম দিন দিন উৎসাহিত হবে।
প্রদর্শণীতে অংশ নেয়া সবচেয়ে কনিষ্ঠ
শিল্পী ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব ডেভলপমেন্ট অলটারনেটিভ এর ছাত্রী জ্যোতির্ময়
চন্দ জানান, নিজের শহরে দেশের বিখ্যাত চারুশিল্পীদের সাথে আমার শিল্পকর্মও
প্রদর্শিত হবে। আমি খুব আনন্দিত।
প্রদর্শণীতে অংশ নিতে এসেছেন রিকশা
পেইন্টার নূর আলী, জীবন, আবদুল আউয়াল। তারা জানান, আমাদের কোন
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। নিজে নিজে যা পারি করছি। আমাদের চিত্রকর্মও যে
শিল্পকলা একাডেমীতে প্রদর্শিত হবে এটা খুবই গর্বের বিষয়।
চারুকলা প্রদর্শনীর ৭ দিনে ৫ মার্চ জলরঙ কর্মশালা, ৬মার্চ এ্যাক্রেলিক কর্মশালা ও ৮ মার্চ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।