নিজের বাড়ি থেকে টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার ব্যক্তিগত সহকারী পিন্টু দের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনেরও সহকারী হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। পুলিশের ধারণা, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে পরিবারের অভিযোগ, প্রায়ই ফোনে টাকা চেয়ে হুমকি দেয়া হতো পিন্টুকে। এ ঘটনার সঙ্গে হুমকিদাতাদের কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি-না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে কলকাতার কাঁকুড়গাছির বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে সেই খবর অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় টলিপাড়ায়।
টলিউডে পিন্টুর পরিচিতি ছিল অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার ছায়াসঙ্গী ‘বাপ্পা দা’ হিসেবে। তার মৃত্যুর খবর শুনে বুধবার পিন্টুর বাড়িতে যান তারা। পিন্টুর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন তারা।
পরিবারের অভিযোগ, নিয়মিত টাকা চেয়ে হুমকি দেয়া হতো পিন্টুকে। পুলিশ জানিয়েছে, গত দেড় মাসে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ৩০ হাজার ভারতীয় রুপি তুলে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, এ কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পিন্টু।
অভিনেতা অঙ্কুশ জানান, তার কাছ থেকেও কয়েকবার টাকা নিয়েছিলেন পিন্টু। ধার শোধ করতে হবে বলেই সে টাকা চেয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। বুধবার সকালে পিন্টুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, অনলাইনে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন পিন্টু। প্রাথমিকভাবে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।