সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলা থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৭ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৪ মার্চ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক লুৎফর রহমান আদালতে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, শমী কায়সার মামলার বাদী বা উপস্থিত কোনও সাংবাদিককে চোর বলে মন্তব্য করেনি। তাকে আটক রাখা অথবা আটক করে তল্লাশি করার নির্দেশনার বিষয়ে কোনও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী বা সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদী নিজেও কোনও সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেননি। বাদী এ সংক্রান্ত কোনও ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করতে পারেননি।
তাছড়া অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনাটি অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা রক্ষীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বাড়াবাড়ির কারণে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা হিসেবে অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডি’র সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। তার আচরণের বিষয়টি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো ফটোসাংবাদিক, ভিডিও ক্যামেরাম্যান ও শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।