ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অনুষ্ঠান চলাকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
কসবা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন শনিবার রাতে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন বলে ওসি আলমগীর ভূঁইয়া জানান।
কসবা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে গত শুক্রবার কসবা পৌরসভার মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে।
ওসি বলেন, মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও আড়াইশজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে রোববার ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তররা হলেন- হৃদয় খান (২২), মো. কাইয়ূম (২২), মো. রাসেল (৩০), মো. রবিন (২৫), সালাউদ্দিন (২৭) ও রবিউল্লাহ (৩২)। এদের মধ্যে রবিউল্লাহর বাড়ি কসবা উপজেলার নোয়াপাড়ায়; বাকিদের বাড়ি তেতৈয়া গ্রামে।
স্মার্ট কার্ড বিতরণের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত শুক্রবার নিজের নির্বাচনী এলাকা কসবায় যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাকে স্বাগত জানাতে কর্মী-সমর্থকদের মিছিল নিয়ে কসবা উপজেলা পরিষদে যান কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজ। তারা দুজনই আসন্ন কসবা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
দুই পক্ষ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছালে কর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ থামে এবং আইনমন্ত্রী কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ার সময় ওই দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়।
সেদিন সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।