কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের ডান কানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। পৌনে ২টার দিকে অস্ত্রোপচার শেষ হয়।
অস্ত্রোপচার করে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত তার ডান কানে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসানো হয়েছে। ছয় মাস পর চিকিৎসকেরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। কিশোরের বড় ভাই লেখক ও সাংবাদিক আহসান কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কিশোরের কানের পর্দায় গর্তের মতো হয়ে গেছে। কানে শুনতে হলে হিয়ারিং এইড বসানো জরুরি হয়ে পড়েছিল। অস্ত্রোপচার করে সেটি বসানো হয়েছে। কারাগারে কিশোরের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল। ডায়াবেটিস কিছুটা নিয়ন্ত্রণের আসার পরে চিকিৎসকেরা কানে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। কিশোরের চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। চোখে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর গত ৪ মার্চ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কিশোর। তাকে আটকের পর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে গত বুধবার (১০ মার্চ) হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন কিশোর। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
কিশোর জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২ মে বিকালে কাকরাইলের বাসা থেকে তাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কারা নিয়েছিল, তা না জানলেও ৫ মে র্যাব হেফাজতে গিয়ে জেনেছেন, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মাঝের সময়টুকু তিনি কোথায় ছিলেন, তা জানেন না। এ সময় তাকে কয়েক দফায় নির্যাতন করা হয়েছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। কারাজীবনের ১০ মাসে সুচিকিৎসা পাননি বলেও তিনি জানান।
গত বছর ৫ মে কার্টুনিস্ট কিশোরকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব। পরদিন ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় আরও দুজন গ্রেফতার হন।