মোস্তফা হোসেইন ।।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শুধু একটি দেশই দেয়নি, দিয়েছে অসংখ্য সাহিত্য উপাদানও। তৈরি করেছে অসংখ্য স্মৃতির ভা-ার। সব শ্রেণি, পেশা, দল মত নির্বিশেষে। এমনকি তৎকালীন শিশুকিশোরদের ঝুলিতেও আছে অনেক অনেক স্মৃতি-স্মারক। কেউ সেগুলো মনের ভিতরে লালন করেন, কারো বা লিখিতও আছে। বলছি, সেই সময়কার কথা। তখনো কেউ কেউ দেখা ঘটনাগুলো লিখে রেখেছেন। বিচ্ছিন্নভাবে কিংবা ধারাবাহিকভাবে। এমনি একটি সুযোগ আমারও হয়েছিলো একাত্তরে-কিশোর বয়সে। একটা পকেট ডায়েরিতে দৈনন্দিন ঘটনাগুলো লিখে রেখেছিলাম।
স্বাধীনতা লাভের ৪৫বছর পর সেই পকেট ডায়েরিটি উদ্ধার করি পুরনো কাগজপত্রের সঙ্গে। যা যুদ্ধস্মারক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে স্থান পেয়েছে ইতোমধ্যে।
বিষয়ভিত্তিক ও বিশ্লেষণসহ ভুক্তি উপস্থাপন করা যেতে পারে। ইতিহাসের অনুষঙ্গ কিংবা সাহিত্যেরও উপাদান পাওয়া যেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধে কিশোরদের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম
একাত্তরে আমি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সঙ্গত কারণেই আমার বন্ধু ও সহপাঠীরা প্রায় সবাই কিশোর। কিন্তু একাত্তরের সেই কিশোরদেরও প্রস্তুতি নিতে হয় স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় মুক্তিযুদ্ধের জন্য। প্রস্তুতি ছিলো একাত্তরের পূর্ব থেকেই। একাত্তর ছিলো তারই ধারাবাহিকতা।
২২ মার্চ, সোমবার, ১৯৭১
ডায়েরি ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লেখা হয়েছিলো। বাক্য ও বানান ভুল অনেক। কিন্তু তারপরও সেই ভুল বাক্যগুলোও মনে করিয়ে দেয়, ওই সময়কার সব ঘটনাপ্রবাহ। যেমন ২২ মার্চ এর ভুক্তিটি দিয়েই শুরু করা যায়।
By the 8/30 train I started for home. At the comilla station I meet Amir Hussain MPA and come with him. In the way I talk with Mulfat Ali Bhuya and Shamsul Alam about the work of Kafi. At 12 noon I reached at house.
তখন উত্তাল ছিলো জেলা শহর কুমিল্লাও। আওয়ামী লীগ নেতারা অত্যন্ত ব্যস্ত আন্দোলনে। নিভৃত পল্লীর স্কুলে পড়–য়া আমাকেও টেনে নেয় সেই আন্দোলনে। পরদিন আমার গ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভা হবে। সেখানে এমপিএ এবং থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের রূপরেখা দেবেন। সেই জন্যই এমপিএ ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভুইয়া সাহেবের আমাদের গ্রামে যাওয়া।
এখানে উল্লেখ করতে হয়, কুমিল্লা শহর থেকে আমাদের গ্রামে যেতে হলে ট্রেইন ছাড়া বিকল্প রাস্তা ছিলো না। লোকাল ট্রেনে সালদানদী নেমে ৮/৯ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে হতো। যে কারণে একদিন আগেই এমপিএসহ নেতাদের কুমিল্লা ত্যাগ করতে হয়েছে। আর তাদের কুমিল্লা থেকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়েছিলো আমার ওপর।
২৩ মার্চ ছিলো পাকিস্তান দিবস। আমরা আগে সেদিন স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতাম। পাকিস্তানের বন্দনা করা হতো সেসব অনুষ্ঠানে। কিন্তু একাত্তরের ২৩ মার্চ স্কুলের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলো। গ্রামে আয়োজন করা হলো জনসভার। তবে দিবসটির নাম পাল্টে গেলো বাংলাদেশ সৃষ্টির আগেই। ডায়েরিতে ইংরেজিতে ওইদিনটিকে রিপাবলিক ডে হিসেবে দেখানো আছে। সে লেখাটি কলমে দাগ দিয়ে কেটে ফেলা হলো ডায়েরিতে। লেখা হলো প্রতিরক্ষা দিবস। ভিতরে ভুক্তিটি ছিলো-
‘ আজকে পাকিস্তান দিবস এর বদলে স্বাধীন বাংলা প্রতিরক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ধানম-িস্থ মুজিবের বাসভবনসহ সারা বাংলা দেশে ( একাত্তরে বাংলাদেশ দুই শব্দে লেখা হতো) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। আজ চান্দলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চান্দলা বাজারে এক জনসভার আয়োজন করা হয়। সেথায় আমি একখানা গান ও প্রায় পনের মিনিট বক্তৃতা করি।’
সভা-সমাবেশ মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজন অনুভূত হয় আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রতিরোধের কথা বলেছেন, সুতরাং শত্রু বাহিনীকে প্রতিরোধেরও ব্যবস্থা করতে হবে। সুতরাং আয়োজন হয় প্রশিক্ষণের। ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষ লাঠি নিয়ে গিয়েছিলো। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে লাঠি নিয়ে প্রশিক্ষণ চলছে। সুতরাং আমাদের গ্রামেও তার ব্যবস্থা হলো। এরমধ্যে ২৫ মার্চের গণহত্যার পর পিঁপড়ার মতো মানুষ ভারতে যাচ্ছে আমাদের গ্রামের ওপর দিয়ে। শত শত মানুষ প্রতি রাতে আশ্রয় নিচ্ছে গ্রামে। বৃদ্ধ, শিশু ও নারী অনেক। অসুস্থও আছে। তাদের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হবে। আওয়ামী লীগের কোনো তহবিল নেই। স্থানীয় নেতারাও গ্রামের মানুষ। তারাও ভাবেননি এমন পরিস্থিতি হবে। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে ভারতগামী মানুষগুলোর আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। দায়িত্ব নেয় আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা আর আমার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ। আসলে তখন সাংগঠনিক পরিচয় একাকার হয়ে গিয়েছিলো। শরনার্থীদের খাবারের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে চালডাল তরকারি চেয়ে আনা শুরু করি।
এমন একটি খাদ্য-চাঁদা ও প্রশিক্ষণের ভুক্তি আছে ৩০ মার্চ মঙ্গলবার।
‘ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর উদ্যোগে আজ আমরা পদুয়ারপাড় ও করিমপুর হইতে প্রায় ১৫ সের চাউল ও ১০ টাকা আদায় করি। বিকালে বাজারে যাই।... বিকালে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর উদ্যোগে স্কুল মাঠে একটি ট্রেনিং দানের ব্যবস্থা হয়। সেথা আমিও ট্রেনিং দেই ( নেই)। আজকে খবরে জানতে পারলাম দিনাজপুর, যশোরে সেনাবাহিনীর লোকেরা বেশ গোলাগুলি চালিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর পুড়িয়ে দিয়েছে।”
মানুষের জন্য মানুষ, এ কথা বোধ হয় একাত্তর আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারতে যাচ্ছে। কী দুর্বিসহ অবস্থা তাদের। বাড়ির পাশেই জেলা বোর্ডের রাস্তা। সেই পথে হাঁটছে মানুষ। সারি ধরে শুধু পূর্বদিকে যাচ্ছে, ভারতের উদ্দেশে। রাতে আশ্রিতদের গ্রামে সামান্য জলখাবারের ব্যাবস্থা করা হয়, বাড়ি বাড়ি চাঁদা তোলে। দিনের যাত্রীদের পানির ব্যবস্থাও নেই।
দাদিকে বললাম, কিছু টাকা দাও শরনার্থীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের পানির সঙ্গে বিস্কুট দেওয়ার ব্যবস্থা করি। খুব সম্ভবত ৫টাকা দিয়েছিলেন দাদী। আমাদের বাহির বাড়িতে ছিলো টিউবওয়েল। পুরো গ্রামে কয়েকটা মাত্র টিউবওয়েল ছিলো। ফলে মানুষ বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার সুযোগও পেত না। পিতলের কলসে পানি নিয়ে, কয়েক সের বিস্কুট নিয়ে জেলাবোর্ডের রাস্তায় কদমগাছের নিচে বসি। বয়স্ক এবং শিশুদের একটি না-বিস্কো বিস্কুট ও এক গ্লাস পানি দেই খেতে। শিশুদের ক্ষুধা মিটতো না এই একটি বিস্কুটে। কিন্তু তাদের বোঝানোর উপায় ছিলো না। এর বেশি দিলে যে অন্যদের বঞ্চিত থাকতে হবে। ৭ মে তারিখের একটি ভুক্তি উল্লেখ্য-
‘ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বাংলাদেশের যত হিন্দু ও আওয়ামী লীগার সবাই সবকিছু ত্যাগ করে হিন্দুস্থানে চলে যাচ্ছে। তাদের সাহায্যার্থে দাদি কয়েকটা টাকা দান করেন। আমি তাদের পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে লক্ষনীয় বিষয় হল হাজার মানুষের কাফেলায় অজ¯্র শিশুর আর্তনাদ ও অগণিত রোগীর চোখের জল।’
নৃশংসতা
৩১ মার্চ বুধবার একটি ভুক্তি থেকে বোঝা যাবে পাকিস্তানি প্রত্যন্ত গ্রামেও কিভাবে নৃশংসতা চালিয়েছে। শিশুকিশোর মানসিকতাকে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। ভুক্তিটি ছিলো-
‘ পশ্চিমা দস্যুদের তৃষ্ণা লেলিহান আজ গ্রাম বাঙ্গলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি গ্রামে তারা হেঁটে লোকদের উপর অত্যাচার অবিচার চালাচ্ছে। সকাল ৮টায় মাধবপুরের জানু মিয়া ও ১০টায় ইউসুফপুরের ( ফরিদা ফুপুর দেবর) নুরু শয়তানদের হাতে মৃত্যুবরণ করেন ( ইন্নালিল্লাহি...) মোহন কাক্কুর থেকে জানতে পারলাম কোম্পানিগঞ্জের বণিক সম্প্রদায়ও বাঁচতে পারেনি।... বিকালে ট্রেনিং দেওয়ার ( নেয়ার) জন্য যাই এবং সতীনাথের সাথে দেখা হয়।...’
এখানে উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যাপ্টেন শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে বাঙালি সৈনিকদের কাছে পরাজিত হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের দিকে পিছু হটতে থাকলে পথে প্রথম প্রতিরোধের মুখে পড়ে মাধবপুরে। জানু মিয়া লাঠি দিয়ে একজন পাকিস্তানি সৈনিককে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাকে রিভলভারের গুলিতে হত্যা করা হয়। সেখান থেকে এগিয়ে যেতে থাকলে হাজার হাজার মানুষ তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে সৈন্যদের খুব কাছাকাছি হয়ে গেলে তাদের দূরে সরানোর জন্য পাকিস্তানিরা গুলি করে। সেই গুলিতে ইউসুফপুরের নুরু মিয়া শাহাদত বরণ করেন।
একাত্তরের সেই জনপ্রতিরোধের মাত্রা ছিলো বিশ্বের যুদ্ধের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। শিশুকিশোরসহ সব মানুষ তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পাকিস্তানিরা একটি মসজিদে ঢুকে জানালা দিয়ে ধাবমান মানুষকে গুলি করে। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ মসজিদের ছাদ ভেঙ্গে মরিচের বস্তায় কেরসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মসজিদের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়। সেখানে বেশ কিছু ঘটনার পর জনগণের হাতে পাকিস্তানিদের ১৩জনই মৃত্যুবরণ করে। এই ভুক্তিতে নৃশংসতা এবং প্রতিরোধের বড় একটি উদাহরণ পাওয়া যায়।
স্বাধীনতার ঘোষণা
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর খুনীদের সহযোগীরা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করে। আশির দশকের শেষাংশে এসে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে ১৩ এপ্রিলের একটি ভুক্তিতে উল্লেখ করা হয়- ... স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতীয় রেডিওতেও মুজিবের বক্তব্য প্রচার করা হয়। ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার লেখা হয়- ' I read the novel `Rat jakhan Barota’, series of Zamdut. It is cats and dogs for all theday. Today Shaikh Mujibur Rahman diclare the Shadhin bangla by the shadhin Bangla Betar candra. At 10/45 pm I heir the lecture of Mujibur Rahman from India Radio. Abba left house today at noon. I came to know that Dulabhai left NGFF.’
মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতা
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশে। ১৯৭৫ সালের পর সেই চেতনাকে ধুলিস্যাত করার চেষ্টা করা হয়। এমনও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকালে তেমন কিছু ছিলো না। একাত্তরের এক কিশোরকেও অসাম্প্রদায়িকতায় কিভাবে প্রভাবিত করেছিলো তা বোঝা যায় ৩১ মে তারিখের একটি ভুক্তি থেকে। সোমবার লেখা হয়- ‘ জানি জীবন কাঠগড়ায় দাড়িয়ে প্রতিটি মানুষের আপোসহীন সংগ্রাম করতে হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ প্রকল্পে। কিন্তু এজন্য কি এত বাধা এত অবিচার। তারা ভিন্ন জাতি বটে কিন্তু তাদের সমাজ, আমাদের সমাজ, তাদের ভাষা আমাদেরও ভাষা, তাদের দেশ আমাদেরও দেশ, তবুও কেন এত অত্যাচার তাদের উপর। ইসলাম ইসলাম করে যারা জীবনভর ঢেড়া পিটায় তারাইত এই সমস্ত কাজ করে। এইটা কি ইসলামের নীতি?’
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পন করে। গ্রাম এলাকায় সবখানে তার ছোঁয়া লাগেনি। আমাদের এলাকায় অনেক আগেই মুক্ত হয়ে যায়। মানুষ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করে। কিন্তু গৃহহীন মানুষের শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। পাকিস্তানি বাহিনী যখন ঢাকায় আত্মসমর্পন করে আমি তখন আমার বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কোম্পানিগঞ্জ বাজারে জয়বাংলা পত্রিকা ফেরি করে বিক্রি করতে যাই। যা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমি করছিলাম।
১৬ ডিসেম্বর তারিখের ভুক্তি ছিলো- ‘ ১১টার সময় কোম্পানিগঞ্জ বাজারে রওনা দেই। এবং পঞ্চাশ কপি জয়বাংলা পত্রিকা বাজারে বিক্রি দেই। আজ রাত্রে কোম্পানিগঞ্জ খালেক ভাই সাহেবের এখানে রাত্র কাটাই।’
যতদূর মনে পড়ে প্রতি কপি ১০ পয়সা করে বিক্রি হয়েছিলো। মাসাধিককাল পত্রিকা বিক্রি করে ১০/১২ টাকা আয় হয়েছিলো।
একাত্তরে লেখা এই ডায়েরি হয়তো ইতিহাসে বড় কিছু নয়। কিন্তু একটি কিশোর একাত্তরকে কিভাবে দেখেছে তা প্রকাশ হয়েছে। নৃশংসতা,বীরত্ব,মানসিকতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ভুক্তিগুলো উদাহরণ হিসেবে কাজে লাগতে পারে।