বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর জন্য নগদ ও বোনাস মিলে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ঘোষণার যে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দুই নিয়ন্ত্রক সস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
“আমরা পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। এই আলোচনায় ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেওয়ার ক্ষমতা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবিষয়ে উদ্যোগ নেবে।”
ব্যাংকের জন্য লভ্যাংশের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ শতাংশ বেঁধে দিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্কটে ব্যাংকগুলো যাতে মুনাফা যথাসম্ভব অবণ্টিত রেখে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখতে পারে, সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কিন্তু এই সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দর হারাতে শুরু করলে পুঁজিবাজারের সূচকও নেতিবাচক অবস্থানে চলে যায়। এরপরই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বৈঠকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার ঘোষণা আসে।
পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর যে পরিমাণ বিনিয়োগ করার কথা ছিল তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তাও তদারকি করার বিষয়ে সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে বিএসইসির মুখপাত্র জানান।
রেজাউল করিম বলেন, “আমাদের ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকা করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার কথা ছিল। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তদারকি করবে, বিএসইসিও বিষয়টি দেখবে।”