ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জিল্লুর হত্যা মামলায় এবার কাউন্সিলর হাসান কারাগারে
মাসুদ আলম
Published : Monday, 15 March, 2021 at 8:33 PM, Update: 15.03.2021 8:37:55 PM
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জিল্লুর হত্যা মামলায় এবার কাউন্সিলর হাসান কারাগারেকুমিল্লা মহানগরীর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান জিলানী হত্যা মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ্ তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, যুবলীগ নেতা জিল্লুর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি কাউন্সিলর আবুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। এরই মাঝে তিনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে লাভ করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার তিনি জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এর আগে এ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি কুসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তারকে গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় জিল্লুর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকা-ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে আনার আইনগত পদক্ষেপ নেব। এছাড়াও পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, এ মামলার প্রধান দুই আসামি কাউন্সিলর হাসান ও সাত্তার গ্রেফতার হলেও তাদের সহযোগী পলাতক আসামি ও তাদের লোকজন মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি অবিলম্বে মামলার সকল আসামিদের গ্রেফতার দাবি করেন।  
উল্লেখ্য, চৌয়ারা বাজারে আধিপত্য ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত বছরের ১১ নভেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা জিলানীকে নগরীর চৌয়ারা পুরাতন বাজার এলাকায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে কুমিল্লা সদর দণি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাউন্সিলর আবুল হাসানকে ১ নম্বর ও আবদুস সাত্তারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। থানা পুলিশের পর বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।