কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় মো. ইমন হোসেন (১৯) নামের এক যুবক’কে তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। কারাদন্ড প্রাপ্ত ওই তরুনকে একইদিন বিকালে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কারাদন্ড প্রাপ্ত মো. ইমন হোসেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের পূর্বচন্ডিপুর গ্রামের শব্দর আলী ওরফে তিতু মিয়ার ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার এক স্কুল ছাত্রী প্রায় তিন মাস আগে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার টাকুই গ্রামে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের পূর্বচন্ডিপুর গ্রামের ইমনের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিচয় হয়। সেই থেকে ইমন ওই স্কুল ছাত্রীর মুঠোফোনে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছে। মুঠোফোনেই ওই ছাত্রী প্রতিবাদ করে আসছে।
গত ১৩ মার্চ ইমন ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলা থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক তোলে আনার চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। গতকাল সোমবার দুপুরে ইমন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুলছাত্রীর খালার বাড়ি টাকুই গ্রামে গিয়ে তার খালা ও খালুর সাথে অশোভন ও আপত্তিজনক আচরণ করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া সিদ্দিকাকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ইউএনওর নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ইমন হোসেনকে আটক করে। ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তার বক্তব্য শুনেন। ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্তত্ত্যের কল রেকর্ডিং শুনেন আদালত। এ সময় তার দোষ স্বীকার করেছেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। পরে বিকালে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ তাকে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, স্কুলছাত্রীকে ইমন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েও তাকে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। উত্ত্যক্ত করার কল রেকডিং শুনেছি। স্কুল ছাত্রীও ইমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ইমন আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন। তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, তাকে কারাদন্ড না দিলে স্কুল ছাত্রী ও তার পরিবার হুমকির মুখে পড়ত।