অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় বেশ কিছু দেশ এটির ব্যবহার বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যেই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা মঙ্গলবার টিকা নিয়েছেন।
টিকা নেয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার খবরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের আহ্বানে থাইল্যান্ডে টিকাদান স্থগিত করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার থাই প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেয়ার মাধ্যমে দেশটিতে আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে তার টিকা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ তার বাম হাতে টিকা নেয়ার আগে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমি সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিচ্ছি।’ টিকা নেয়ার পর তার কোনো সমস্যা হয়নি বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নেয়ার কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাধতে পারে এমন খবরে সত্যতা নেই, অনেক দেশের পক্ষ থেকে এমন কথা বলার পর পুনরায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মী-সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টিকাদানের মাধ্যমে দেশটিতে টিকাদান শুরু হয়েছে। তবে দেশটি টিকার ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার ওপরই বেশি নির্ভরশীল। থাই রাজার মালিকানাধীন একটি সংস্থার মাধ্যমে দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করার কথা রয়েছে, তা থেকে এই টিকার ৬১ মিলিয়ন ডোজ দেশটির জনগণের জন্য সংরক্ষিত।
থাই-উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অন্ততপক্ষে জুনের আগে পাওয়া যাবে না বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পাওয়া খবর থেকে জানা যায়। দেশটির সরকার এ মাসের শুরুর দিকে জরুরি ব্যবহারের জন্য পাওয়া ১ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ ডোজের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে।
এর আগে থাইল্যান্ড সিনোভ্যাকের তৈরি টিকার ২ লাখ ডোজ আমদানি করেছিল। এ মাসের মধ্যে এই টিকার আরও ৮ লাখ ডোজ এবং এপ্রিলের মধ্যে আরও ১০ লাখ ডোজ আসার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।