মো. হাবিবুর রহমান
১৮ বছর যাবত জোড়াতালি দিয়ে চলছে মুরাদনগর উপজেলা সদরের গোমতি নদীর উপর নির্মিত বেইলী ব্রীজ। প্রায়ই ব্রীজের ভাঙা পাটাতনে গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে এসে অবস্থা বেগতিক দেখে ব্রীজের দু’পাশে লোহার পাইপ দিয়ে বেরিকেট দিয়েছেন। যাতে ওই ব্রীজের উপর দিয়ে ভারি ও মাঝারি যানবাহন চলাচল করতে না পারে। সম্প্রতি ব্রীজে বিকট শব্দ হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
অপর দিকে মুরাদনগর থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো এবং উপজেলায় অবস্থিত চারটি গ্যাস ফিল্ডের বড় ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারি ও মাঝারি যানবাহন গুলো ১০ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করছে। ব্রীজটি যে কোন সময় ধ্বসে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে! তাই গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক সংগঠন কালের কন্ঠ শুভসংঘের উদ্যোগে নতুন ব্রীজ করার দাবিতে এক মানববন্ধন করেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের গোমতী নদীর উপর ব্রীজের মধ্যে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নতুন ব্রীজের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রভাষক আজিজুর রহমান রনি, আওয়ামীলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও কালের কন্ঠ শুভসংঘের সভাপতি নিজাম উদ্দিন ভুইয়া প্রমুখ।
জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই রাব্বি দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, মুরাদনগর উপজেলা সদরসহ ইলিয়টগঞ্জ সড়কের দক্ষিন অঞ্চলের ৮টি সেতু বেশ পুরনো হয়ে যাওয়ায় সেগুলো ঝুঁকিতে আছে। এ বেইলি সেতুগুলো স্থায়ী পাঁকা (আরসিসি গার্ডার ব্রিজ) সেতু করার জন্য অনুমোদন চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একইভাবে মুরাদনগর সদরে গোমতি নদীর ওপর বেইলি সেতুটির অবস্থা নাজুক। পিলারের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। এ সেতুতে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ১২ বছর সেতুটি একই অবস্থায় আছে। ৯ বছর আগে সেতুটির উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল নিষেধ করে সওজ। ব্রীজের অবস্থা নাজুক হওয়ায় ভারি ও মাঝারি যানবাহন চলতে না পারে সে জন্য লোহার পাইপ দিয়ে বেরিকেট দেওয়া হয়েছে।