নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ছিলেন না মোহাম্মদ জুয়েল। ঠাঁই হয়েছিল তার স্ট্যান্ডবাই তালিকায়। জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমির ডের সঙ্গে একদিন অনুশীলন করেই এই ফরোয়ার্ড জায়গা পেয়ে গেলেন মূল দলে!
পুলিশ এফসির এই ফরোয়ার্ডকে নিয়েই আগামী বৃহস্পতিবার নেপালে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
আগের ২৪ জনের দলে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ছিলেন মাহবুবুর রহমান সুফিল, মতিন মিয়া, সাদ উদ্দিন, মেহেদী হাসান রয়েল, বিপলু আহমেদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, রাকিব হোসেন ও সুমন রেজা। এবার যোগ হলেন জুয়েল।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে কোচ ডে জানালেন জুয়েলকে নেওয়ার কারণ।
“ফরোয়ার্ডে আরও একটি বিকল্প থাকা সবসময়ই দলের জন্য ভালো। আমাদের যথেষ্ট মিডফিল্ডার, ডিফেন্ডার আছে। আক্রমণভাগে একটু কমতি ছিল। তাই জুয়েলকে নেওয়া।”
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ধাপের ১২ রাউন্ডে নজর কাড়ার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি জুয়েল। গোলের তালিকায় দেশি ফরোয়ার্ডদের মধ্যে শীর্ষে উত্তর বারিধারা ক্লাবের সুমন ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আব্দুল্লাহ (৬টি করে)।
বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া ও বিপলু আহমেদ গোলের খাতাই খুলতে পারেননি। সুফিলের গোল ১টি। এছাড়া রাকিব ৩টি, রয়েল ২টি, সাদ ১টি গোল করেছেন। জুয়েলের গোল মোটে ১টি।
তবে কৌশলগত একটি দিক থেকে ২০ বছর বয়সী এই তরুণের খেলাটা মনে ধরেছে বাংলাদেশ দলের ইংলিশ কোচের।
“হয়ত দুটো ম্যাচে আক্রমণভাগে সে থাকবে না। কারণ ২৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে নেপালে যাচ্ছি। এটা তাদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমি মনে করি, লিগে জুয়েল ভালো করেছে। আক্রমণভাগে যথেষ্ট জায়গা নিয়ে খেলেছে।”
টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।