রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জননিরাপত্তা বিঘিœত ও সর্বভৌমত্ব বিপন্নের যড়যন্ত্রের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ভোরে থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানা ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বইপত্র, দেশীয় অস্ত্র চাকু, ছোরা, চাপাতি ও হাসুয়া উদ্ধার হয়।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলেন– জামায়াত নেতা নগরীর বহরমপুর এলাকার মোফাজ্জল হোসেন (৬২), বসুয়ার মাহবুবুল আলম কাজল (৪৭), বেলাল হোসেন (৪৫), শ্যামপুর এলাকার আব্দুল্লাহ (২৩), আব্দুল হক (৪৪), জিয়াউল হক (২৬), ললিতাহার গ্রামের মাহবুব হোসাইন (৩০), খড়খড়ির মাহফুজ (৩২), ললিতাহারের মুরাদ হোসেন লাভলু (৩৭), পবা নতুন পাড়ার মনিরুল ইসলাম মনির (২৪)।
এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন– মহানগর শিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরমান আলী লিটিল (৪০), আসাম কলোনী এলাকার জামায়াত নেতা আব্দুল আল মোস্তফা (৪৫), গোমস্তাপুর উপজেলার বাজার পাড়া গ্রামের শিবির নেতা শামীম (২৫), কাপাসিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪৮) ও সামাউল কবির (৩৬), ধরমপুর গ্রামের রমজান আলী রমজান (২৭) এবং বড় বনগ্রাম এলাকার রুম্মান (২৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, নগরের চৈতির মোড় এলাকায় মহানগর জামায়াতের আমির নুরুল আউয়ালসহ আরও কয়েকজনের নেতৃত্বে জ্ঞাত ৩০ জন এবং অজ্ঞাত ৪৫-৫০ জন পরস্পর যোগসাজশে প্রকাশ্যে বৈঠক করে দেশের জননিরাপত্তা বিঘিœত ও সর্বভৌমত্ব বিপন্নের যড়যন্ত্র করছে। ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করে। জননিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’