যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস। ২৬ মার্চ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসের শুরুতে সূর্যোদয়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মাে. আসাদুজ্জামান জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান সারথি ও অগ্নিপুরুষ, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭১ সালর ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী, স্বৈরশাসকেরা আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীসহ যাঁরা প্রতিভাবান ছিলেন তাঁদরকে নির্বিচার হত্যা করেছিল। স্বৈরশাসকরা বুঝতে পেরেছিল, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলার জনগণকে চূড়ান্ত পর্যায়ের ডাক দিয়েছিলেন। বাংলার জনগণ আর পিছনে ফিরে যাবে না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে ও ২ লক্ষ মা-বােনের সম্ভ্রমহানীর মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি । সেই স্বাধীনতার স্থপতি হলেন মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর কল্পনা, ইচ্ছাশক্তি, প্রতিশ্রুতি, বাংলার জনগণের প্রতি ভালবাসা সবকিছু মিলিয়ই তিনি স্বাধীনতার স্থপতি হয়েছেন। আমাদের এই চেতনা বুক ধারণ করতে হবে।
তিনি আরাে বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন, দৃঢ়তা, দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে এই বাংলার সকল জনগণকে একত্র করে মানুষের কল্যাণ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শামিমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, আবাসিক হল প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রমুখ।