করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিনক্ষণ পিছিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আগামী ঈদ উল ফিতরের পর ২৩ মে থেকে স্কুল-কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মহামারী পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। তবে চলতি মাসে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ঈদের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ইঙ্গিত দেন।
পরে রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
“সংক্রমণের ঊর্ধগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে তারিখ শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
“এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।”
মহামারীর শুরুতে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় এইচএসসির পাশাপাশি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী এবং কোনো ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।
সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, আগমী রোজার ঈদের পর ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে। তার আগে সবাইকে টিকা দিয়ে খুলে দেওয়া হবে হল।
আর স্কুল-কলেজগুলো মার্চের শেষে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও এখন তা পিছিয়ে দেওয়া হল।