Published : Thursday, 25 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 25.03.2021 12:44:54 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাময়িক বরখাস্ত
কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা কেন্দ্রীয়
কারাগার থেকে বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দী
ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারে ঘুম না যাওয়া, এক ব্যক্তিকে মারধর,
প্রতিনিয়ত চিৎকার-চেঁচামেচি ও পানির লাইন নষ্ট করার অভিযোগে তাঁকে
স্থানান্তর করা হয় বলে কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এলাকার
কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯ মার্চ বিকেলে কুমিল্লা
নগরের চকবাজার এলাকায় যুবলীগের একটি মিছিলে যুবলীগের সদস্য রোকন উদ্দিনকে
গাড়িচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলর সাইফুলের বিরুদ্ধে। এ
ছাড়া একই দিন তিনি নগরের তেলিকোনা চৌমুহনীর একটি পেট্রলপাম্পে দুই হাতে
দুটি দেশীয় অস্ত্র (দা) নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে নৃত্য করেন, যার একটি ভিডিও
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রোকনের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি মামলা
করেন। পরে পুলিশ তাঁকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করে। ২০ মার্চ বিকেলে তাঁকে
কুমিল্লার আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয়
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২০ মার্চ বিকেলে সাইফুলকে কারাগারে নেওয়া
হয়। পরে তাঁকে কারা হাসপাতালের অধীনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। এরপর থেকে
তিনি না ঘুমিয়ে আছেন। ক্ষণে ক্ষণে চিৎকার–চেঁচামেচি করছেন। কারাগারে একজনকে
মারধরও করেন। পানির লাইন নষ্ট করে ফেলেন। এসব কারণে তাঁকে কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয়
কারাগারের কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন চিকিৎসক রেজা মো. সারোয়ার আকবর
বলেন, ‘সাইফুলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তিনি গত এক সাস ঘুমাচ্ছেন না।
যতটুকু দেখেছি, তিনি অতিরিক্ত কথা বলছেন। চিৎকার–চেঁচামেচি করছেন। একজনের
গায়ে হাতও তুলেছেন। পানির লাইনও রাগে–ক্ষোভে নষ্ট করে ফেলেছেন।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে টকিংমেনিয়া বলা হয়। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার
জন্য তাঁকে আজ বেলা ১১টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দী
ওয়ার্ডে রাখা হয়।’
কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,
‘চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সাইফুলকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁকে উন্নত
চিকিৎসা দেওয়া হবে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞও দেখানো হবে।’
এর আগে ২৩ মার্চ
সাইফুলকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯–এর ধারা ১৩–এর উপধারা(১০)
(ঘ) অনুযায়ী কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।