ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মনোহরগঞ্জের মেধাবী দুই সহোদরের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক
Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 6:28 PM, Update: 07.04.2021 8:11:31 PM
মনোহরগঞ্জের মেধাবী দুই সহোদরের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসকহুমায়ুন কবির মানিক
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মেধাবী দুই সহোদরের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। সম্প্রতি মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানরা গ্রামের অটোরিকশা চালক বিল্লাল হোসেনের যমজ দুই ছেলে আরিফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী দুই সহোদরের সাফল্য নিয়ে দৈনিক কুমিল্লার কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হয়।
গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানার মাধ্যমে মেধাবী দুই সহোদরের হাতে ২০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। পাশাপাশি এই দুই সহোদরের জন্য সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন তিনি। এসময় হাসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন এবং মেধাবী দুই সহোদরের পিতা বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উপজেলার মান্দারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পাওয়ার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজে ভর্তি হয় আরিফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। সেখান থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পায় তারা। এবার আরিফ সারা বাংলাদেশে ৮২২ তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলে এবং শরিফ ১১৮৬ তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ছেলেদের এমন সফলতায় মা-বাবা ভিষণ খুশি। বাকি দুই সন্তানের মধ্যে সাইফুল ইসলাম মাদ্রাসায় এবং আমেনা আক্তার প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। তার আয় দিয়ে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ ও সংসারের ভরণপোষণ চলে। মনোহরগঞ্জের মেধাবী দুই সহোদরের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক
আরিফ ও শরিফ জানান, তারা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চান। বাবার পরিশ্রম, মায়ের যত্ন আর শিক্ষকদের সহযোগিতায় তাদের লেখাপড়ার সাহস যুগিয়েছে। তারা সকলের দোয়া প্রার্থী।
বাবা বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি সিএনজি অটোরিকশা চালান। অর্থাভাবে নিজের লেখাপড়া সম্পন্ন করতে পারেননি। তাই কষ্ট করে হলেও সন্তানদের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ছেলেদের পড়ালেখার খরচ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহযোগিতা এবং পাশে থাকার আশ্বাস তার সাহস যুগিয়েছে।