ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নি¤œ আদালত খুলে দিতে প্রধান বিচারপতিকে আইনজীবী নেতাদের অনুরোধ
Published : Thursday, 8 April, 2021 at 12:00 AM
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় চলমান সরকারি বিধিনিষেধের মাঝেই দেশের বিচারিক আদালতগুলো খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে চিঠি দিয়েছেন আইনজীবী নেতারা।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রধান বিচারপতি বরাবর এ চিঠি পাঠান।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সভাপতি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমানের দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, চলমান লকডাউনের সময় বিচারপ্রার্থী জনগণ ও আইনজীবীদের স্বার্থে নি¤œ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য কিছু লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যকীয়। সর্বোপরি লকডাউনের মেয়াদ বর্ধিত না করেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে আবশ্যকীয় পদক্ষেপগুলো মেনে কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ/নির্দেশ প্রদান করতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি সবিনয়ে প্রার্থনা করছে।
এদিকে গতকাল ৬ এপ্রিল লকডাউনের মধ্যেই কোর্ট খুলে দিতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির চিঠিতে বলা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জরুরি বিষয়সমূহ নিষ্পত্তিকরণার্থে সীমিত আকারে নি¤œ আদালত সমূহে জামিন শুনানি, জরুরি নিষেধাজ্ঞার আবেদন ও ফাইলিং কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন। এছাড়াও আদালত অঙ্গনে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে ভিড় এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
করোনার সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে জনসাধারণের চলাচলের ওপর নানান বিধিনিষেধ দিয়ে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। গত ৪ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পরে ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় লকডাউন চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি চারটি বেঞ্চ (তিনটি দ্বৈত ও একটি একক) এবং সপ্তাহে দুদিন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
পাশাপাশি দেশের নি¤œ আদালতসমূহের মধ্যে জেলা ও মহানগর প্রতি একজন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জরুরি বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালিত হবে বলেও কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।