বয়স পেরিয়ে গেছে ৩৭। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে তিন বছর আগে। কিন্তু এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে যেন মরচে পড়েনি এতটুকুও! এবারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচেও দেখা গেল তার ব্যাটের ধার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের দক্ষিণ আফ্রিকান তারকার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রশংসায় উচ্চকিত ব্রায়ান লারা, ম্যাথু হেইডেনের মতো গ্রেটরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর বিশ্বের নানা প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সক্রিয় ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে আপাতত খেলছেন স্রেফ আইপিএলই।
গত আইপিএলে দলের শেষ ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ৫৬ রানের ইনিংস। এরপর কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলেননি। এবার আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই শুক্রবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে বেঙ্গালোরের দারুণ জয়ে খেললেন ২৭ বলে ৪৮ রানের মহামূল্য ইনিংস।
বিরাট কোহলির বিদায়ের পর যখন উইকেটে যান ডি ভিলিয়ার্স, দলের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৫ বলে ৬২ রান। এরপর থিতু হয়ে যাওয়া গ্লেন ম্যাকওয়েল আউট হয়ে যান, শাহবাজ আহমেদ ও ড্যান ক্রিস্টিয়ান ফেরেন দ্রুতই। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স দলকে এগিয়ে নেন জয়ের পথে।
টিভি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এবারের আইপিএলে থাকা ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি লারা তুলে ধরলেন ডি ভিলিয়ার্সের ইনিংসের গুরুত্ব।
“ সে ‘টাইমলেস’ ক্রিকেটার। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে তার, এখন কেবল আইপিএলই খেলছে। মনে হচ্ছে, এটির জন্য নিজেকে ফিট ও প্রস্তুত রেখেছে। বিরাট কোহলিকে হারানোর পর ডি ভিলিয়ার্সের ভালো খেলা বেঙ্গালোরের জন্য জরুরি ছিল। সে একদম সঠিক সময়ে ঝড় তুলেছে। খেলাটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং দলকে ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছে।”
আইপিএলে এবার ধারাভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হেইডেনের কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ডি ভিলিয়ার্সের পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাটিং।
“ অসাধারণ ইনিংস খেলেছে এবিডি, কোনো সংশয় নেই। তার উপস্থিত বুদ্ধি ছিল দারুণ, জানত যে কখন ছুটতে হবে আর কখন অপেক্ষা করতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, স্ট্রাইক বদলানো। আর বড় শট তো ছিলই।”
“ গ্রেট ক্রিকেটারের চিহ্ন হলো, অন্য গ্রেট ক্রিকেটারকে তারা যেভাবে সামলায়। জাসপ্রিত বুমরাহ ডেথ ওভারের সেরা বোলারদের একজন, বেশ অনেক দিন ধরেই। কিন্তু এবিডি তার ওপরই চড়াও হয়েছে।”
২ ওভারে যখন বেঙ্গালোরের প্রয়োজন ১৯ রান, বুমরাহর তিন বলের মধ্যে দুটি চোখধাঁধানো বাউন্ডারিতেই সমীকরণ সহজ করে দেন ডি ভিলিয়ার্স। ওই ওভার থেকে আসে ১২ রান।