ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে স্বপ্ন ভঙ্গ কৃষকের
সাড়ে ১১ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট
Published : Saturday, 10 April, 2021 at 7:04 PM, Update: 10.04.2021 7:08:35 PM
ব্রাহ্মণপাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে স্বপ্ন ভঙ্গ কৃষকেরইসমাইল নয়ন ॥
    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিভিন্ন ফসলি মাঠে ঝড় ও গরম হাওয়ায় সাড়ে ১১ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। রবিবার (৪এপ্রিল) সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া ঝড় ও হাওয়ার সাথে গরম আবহাওয়ার কারণে জমির বোরো ধান পরাগায়ন ব্যহত হয়। ফলে এই মৌসুমে উৎপাদিত বোরো ধানে চিটা দেখা দিয়েছে। এদিকে এ সমস্ত ধান ক্ষেত তাপমাত্রার প্রভাবে ঝলছে গিয়ে বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে। এমন সময় সবুজ ধানের গাছ ধূসর হয়ে পড়ায় কৃষকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে।
    উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪ এপ্রিল রোববার বিকেলে মাঠের সবুজ ধান ক্ষেতের সতেজতা দেখে বাড়ি গেছেন দুলালপুর পশ্চিম বিলের কৃষক শাহ আলম মিয়া। কিন্তু পরদিন সোমবার সকালে ক্ষেতের আইলে গিয়েই দেখেন তার সবুজ স্বপ্নগুলো ধূসর হয়ে গেছে।
    উপজেলার দীর্ঘভূমি গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ‘হঠাৎ করে গরম হাওয়ায় সবুজ ধানের গাছ সাদা রংয়ের হয়েগেছে। পরের দিন রোদ ওঠার পর আমরা বিষয়টি টের পাই।
    পরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, উপ পরিচলাক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. সিরাজ উদ্দিন হোসেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন খান, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুল হাসান উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন জমি পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বলেন, পরাগায়ন পর্যায়ে ৩০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সময় ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রচন্ড বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ায় এ সকল জিমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণপাড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে স্বপ্ন ভঙ্গ কৃষকের
    উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাহবুবুল হাসান আরও বলেন, গরম হওয়ায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়ে ১১ হেক্টর জমির বোর ধান বিনষ্ট হয়েছে। বোরো ধান পরাগায়নের জন্য ১৫-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। কিন্তু ঝড়ের সময় তাপমাত্রা ছিল ৩৫-৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। প্রচন্ড ঝড় হওয়ার কারণে ধানের পরাগায়নের রেনু বাতাসে উড়ে গেছে। ফলে স্বপরাগায়ন বোরো ধান পরাগায়িত না হওয়ায় চিটায় পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনো যে সকল জমিতে পুরোপুরি ভাবে ধানের শীষ বের হয় নাই সেই সকল জমিতে কৃষকরা প্রতিনিয়ত পানি রাখতে হবে। তাহলে ক্ষতির পরিমান অনেকটা কমে আসবে।