মানিক দাস // সরকার সামান্য দিনের জন্য কঠোর হয়েছে। তা হয়েছে শুধু মাত্র করোনার ভয়াবহতার হাত থেকে আমাদের কে সুরক্ষার জন্য। ছোট পরিবহন গুলোতে পণ্য পরিবহন, ঔষধ পরিবহন, রোগী পরিবহন স্টিকার লিখতে হবে। তবে বিনা কারণে এসব গাড়ী রাস্তায় বের হতে পারবে না। আমরা যাচাই করে দেখব পণ্য পরিবহন ও রোগী পরিবহন সঠিক আছে কিনা? করোনা কত ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে এক দিনে ৮৩ জনের মৃত্যু। এক সপ্তাহের জন্য এ লকডাউন। এ সসয় যদি কোনো পরিবহন রাস্তায় বের হলে আমরা জদ্ব করে থানায় নিয়ে যাব। তা আর জদ্ব হলে দেয়া হবে না। বিনা কারণে কেউ রাস্তায় বের হতে পারবে না। রাস্তায় থাকবে প্রশাসন আর পুলিশ। আপনারা কী কারণে ঘর থেকে বের হয়েছেন তার প্রমাণ থাকতে হবে। হোটেল রেস্তুরা লকডাউনের সময় দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এবং রাত ১২ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারবেন। তবে হোটেলে কোনো ক্রেতা কে বসে খাবর দিতে পারবে না। আমরা মনিটরিংয়ে থেকে মোবাইল কোট পরিচালনা করে ব্যবস্হা নেয়া হবে।রমজান মাসে কোনো পণ্যের মূল্য বাড়ানো যাবে না। মার্কেটিং অফিস তা তদারকি করবে। সরকারের নির্দেশিত শর্ত মানতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে সরকারের নির্দেশ মানা হয়না। এ মার্কেট থেকে যারা মিছিল করে ছিল তাদের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা জামাত বিএনপির লোক এবং তারা চিহ্নিত। তারাই আরেকটা ইস্যু তৈরি করতে পারে। আমরা এ সাত দিন যদি লকডাউন মেনে চলতে পারলে উপকৃত হবে সবাই। যদি না মানা হয় তা হলে লকডাউনের সময় সীমা বাড়ানো হবে তা ভাল হবে না। রোজার মাসে হোটেল রেস্তুরা বন্ধ রাখে, রোজার পরে তা তো চলে। চাঁদপুর লাল কালির চিহ্ন পরে গেছে, করোনা চাঁদপুরে এতটাই ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। তা ধরেই নির্মূল হবে না, আমরা সুরক্ষায় থাকলে রোধ করা যাবে। গুজব ছড়িয়ে রাস্ট্রকে প্রবাহিত করবেন না। মহামারি দেখা গেলে ঔষধ খেতে হবে। মহামারি নিয়ে রাজনীতি নয়। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, রাস্ট্রকে বাচঁতে হবে।
অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারন সম্পাদক রহিম বাদশা, মার্কেটিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম,চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, পরিচালক গোপাল সাহা, চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরেশ মালাকাল, সাধঅরণ সম্পাদক নাজমুল পাটওয়ারী কুমিল্লা রোড ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবুল, হোটেল রেস্তুরা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান লালু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মজিবুর রহমান আখন্দ, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি কাজী শাহরিয়ার ওমর ফারুক সহ আরও অনেকে।